নিউজ ডেস্ক : ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতির বিচার হওয়া জরুরি সেটা যে পর্যায়েরই হোকনা কেন। শোভন-রাব্বানীকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া একটা পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। তবে তাদের আইনের আওতায় আনা হয় কিনা সেটাই দেখার বিষয়। ডয়চে ভেলে
তিনি বলেন, শোভন- রাব্বানী চাঁদা চেয়ে থাকলে সেটা ফৌজদারী অপরাধ। শোভন-রাব্বানীই শুধু নয়, এর উপরে আরো অনেক স্তর আছে, যারা আরো বেশি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। এখন তদন্ত করে তাদেরও আইনের আওতায় আনা দরকার।
তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক দুর্নীতি ছাড়াও আরো দুর্নীতি আছে। প্রশাসনে আছে, পুলিশে আছে, ব্যাংকিং খাতে আছে, শেয়ার বাজারে আছে। প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন ধরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলছেন। তাঁর কথা শুধুই কথা, নাকি আসলেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছেন তা বুঝতে সময় লাগবে। তিনি যদি কার্যকর ব্যবস্থা নেন তাহলেই তাঁর কথার বাস্তবতা খুঁজে পাওয়া যাবে।
ইফতেখারুজ্জামানের মতে, দুর্নীতি ধরতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে দক্ষ করতে হবে। মানুষকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে, সোচ্চার হতে হবে। তিনি জাবি শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সোচ্চার হয়েছিলো বলেই দুর্নীতির বিষয়টি সামনে এসেছে।