বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৩:১০:৪৩

বিএনপির মুখে গণতন্ত্র কিন্তু অন্তরে আর কর্মে হত্যা, ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস: মোহাম্মদ এ. আরাফাত

বিএনপির মুখে গণতন্ত্র কিন্তু অন্তরে আর কর্মে হত্যা, ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস: মোহাম্মদ এ. আরাফাত

মোহাম্মদ এ. আরাফাত: সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টক শো'তে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু তাদের রাজনীতির কৌশল হিসেবে পরোক্ষভাবে শেখ হাসিনাকে হ'ত্যার হুমকি দিয়েছে! এ থেকে সহজেই অনুমেয়, অতীতে জিয়াউর রহমান যেমন প্রত্যক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু হ'ত্যায় মদদ দিয়েছিল এবং তারেক রহমান ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হা'মলা করে শেখ হাসিনাকে হ'ত্যা করতে চেয়েছিল, একই রকম রাজনৈতিক দর্শন বিএনপি এখনও ধারণ করে। 

এর মধ্যে দিয়ে আবারও প্রমাণ হল বিএনপি- জামাতের রাজনীতি হ'ত্যা, ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস আর রক্তের রাজনীতি। দেশের সুশীল সমাজ এবং কূটনৈতিক পাড়ার বন্ধুদের আমরা বারংবার পুরোপুরি বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি যে বিএনপি-জামায়াতের মতো ঘাতক তথা সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিয়ে ভদ্রলোকের ‘গণতন্ত্র’ সম্ভব নয়। 

বিএনপি এবং জামায়াতের অতীত কর্মকাণ্ডের দিকে তাকালেই সহজেই বোঝা যায় এই সংগঠনগুলো সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে না। যখনই সুযোগ পেয়েছে এই বিএনপি-জামায়াত চক্র হ'ত্যা, ষড়যন্ত্র, স'ন্ত্রাস এবং হিংসার পথ বেছে নিয়েছে। এরা কখনই সুস্থ গণতন্ত্রের পথে হাঁটেনি, বরং যখনই সুযোগ পেয়েছে হ'ত্যা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হ'ত্যা করেছে। ৯০ পরবর্তী বাংলাদেশে একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিকাশেরযে পথ খুলেছিল, বিএনপি-জামায়াত তা বারংবার রুদ্ধ করেছে। 

৯০ এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ৯১ সালের নির্বাচনের পরপরই বিএনপি ‘মাগুরা’ উপনির্বাচনে ভোট চুরির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র বিকাশের স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করলো। পরবর্তীতে ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখতে ১৯৯৬ সালে ১৫ই ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন করে গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির আসল দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ ঘটালো। 

বিএনপির এরকম আচরণের পরেও আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেও দল নিরপেক্ষ একজন ব্যাক্তিকে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিল এবং সরকারের সময়সীমা শেষ হওয়ার সাথে সাথে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল।

কিন্তু এরপর কি হলো? ২০০১ এ বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে জঙ্গিদের সহযোগিতায় ২০০৪ সালের ২১শে আগস্টে শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হা'মলার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের রাজনীতির যতটুকু সম্ভাবনা এদেশে ছিল তা নষ্ট করে দিল। 

আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে জার্মানিতে হিটলারের নেতৃত্বাধীন নাৎসী পার্টি জনগণকে ক্ষণিকের জন্য বোকা বানিয়ে ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতায় গিয়েছিল, কিন্তু পরবর্তিতে পৃথিবীর ইতিহাসে কি হয়েছিল তা সবার জানা। গণতন্ত্র শুধু নির্বাচনী ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধ নয়, গণতন্ত্র হলো দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়। বিএনপি-জামায়াতের অতীত ইতিহাস এবং বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি উভয়ই অগণতান্ত্রিক এবং হ'ত্য ও ষড়যন্ত্রের। 

কাজেই আজকের বাস্তবতায় ‘গণতন্ত্র’, ‘গণতন্ত্র’ বলে আমরা যতই চিল্লাই না কেন, বিএনপি-জামায়াতের মতো ঘাতক চক্রকে দেশের রাজনীতিতে রেখে ভদ্রলোকের ‘গণতন্ত্র’ এদেশে সম্ভব নয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে