নিউজ ডেস্ক : স্যার, আমাদের থ্রি-পিসটা পরতে দেন। এখানে পেটের তাগিদে চাকরি করি। ওয়েস্টার্ন ড্রেস না পরলে চাকরি থাকবে না। এখানে সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানো। খারাপ কাজের কোনো সুযোগ নেই। এখানে জুয়ার বোর্ডে চাকরি করাটাই কি অপরাধ?
রাত ৯টায় ফকিরাপুলে ক্লাবের ভেতরে বসে দুই তরুণী তাদের পাহারায় থাকা এক নারী র্যাব সদস্যকে লক্ষ্য করে এই কথাগুলো বলছিলেন। জবাবে ওই র্যাব সদস্য বললেন, স্যারদের অর্ডার নেই।
দুই তরুণীর একজন নিজেকে রিসেপশনিস্ট ও আরেকজন জুয়ার বোর্ডের কার্ড সরবরাহকারী পরিচয় দেন। রিসেপশনিস্টের বেতন ২১ হাজার আর কার্ড বিতরণকারীর ১০ হাজার। দৈনিক ১২ ঘণ্টা চাকরি। গত দেড় মাস যাবত চাকরি করছেন বলে জানান।
তারা জানান, তারা মোট ৬ জন পালাক্রমে ডিউটি করেন। তাদের স্বামী এখানে চাকরির কথা জানেন। তবে পরিবারের অন্যরা জানেন না। তারা বারবার নিজেদের নিরপরা'ধ দাবি করেন। এর আগে বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় ইয়ংমেন্স ক্লাবের নি'ষি'দ্ধ জু'য়ার ক্যাসিনোতে অভিযান শুরু করে র্যাব।
এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। সারোয়ার আলম বলেন, অভিযানের সময় ভেতরে থাকা এবং ক্যাসিনোতে জুয়া খেলা অবস্থায় ১৪২ জনকে আটক করা হয়েছে।