বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৯, ০৬:৩১:৫১

ওবায়দুলের ফাঁসির রায়ে আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন রিশার মা

ওবায়দুলের ফাঁসির রায়ে আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন রিশার মা

ঢাকা: রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা হ'ত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন নিহ'তের মা তানিয়া হোসেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামি ওবায়দুলের মৃ'ত্যুদ'ণ্ডের রায় শোনার পর আদালত চত্বরে কান্নায় ভে'ঙে পড়েন তিনি।

তিনি বলেন, ‘রায়ে আমি খুশি। ফাঁ'সির রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়। আমার মতো যেন আর কোনো মায়ের কোল খালি না হয়।’

এদিকে রায় শোনার জন্য এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হোসেন ও গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান আরেফুর রহমান টিটু। তারাও রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তা দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।

এদিন আদালতে আরও উপস্থিত ছিল উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরাও। রায় শুনে তারা সন্তোষ প্রকাশ করে এবং রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানায়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, পাঁচ-ছয় মাস আগে রিশা ও তার মা তানিয়া ইস্টার্ন মল্লিকা মার্কেটে বৈশাখী টেইলার্সে কাপড় সেলাই করাতে যান। এ সময় তার মা ওই দোকানের রসিদের রিসিভ কপিতে ফোন নম্বর দিয়ে আসেন। ওই টেইলার্সের কর্মচারী ওবায়দুল রিসিভ কপি থেকে ফোন নম্বর নিয়ে রিশাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতো। রিশার মা এ বিষয়ে ওবায়দুলকে সত'র্ক করেন।

২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট রিশা ও তার বন্ধু মুনতারিফ রহমান রাফি পরীক্ষা শেষে কাকরাইল ওভারব্রিজ পার হওয়ার সময় ওবায়দুল রিশাকে আবারও প্রেমের প্রস্তাব দেয়। রিশা তা প্রত্যাখ্যান করলে ওবায়দুল তাকে ছু'রিকাঘা'ত করে।

পরে র'ক্তা'ক্ত অবস্থায় রিশাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট মা'রা যায় রিশা।

ছু'রিকাঘা'তের ঘটনায় ২৪ আগস্ট রিশার মা তানিয়া হোসেন বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা করেন। পরে মামলাটি হ'ত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর ওবায়দুলকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন।

২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকা মহানগর অষ্টম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবুল কাশেম আসামি ওবায়দুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ২৬ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ২২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে