নিউজ ডেস্ক : নাব্য সংকটের কারণে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া (মাওয়া) নৌরুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। নাব্য সংকট নিরসনের আগ পর্যন্ত বিকল্প হিসেবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বিকাল থেকে নৌরুট বন্ধের এ ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ি ঘাট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। জানা গেছে, কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের চ্যানেলে পানি কমে যাওয়ায় ফেরি চলাচল অনুপযোগী হয়ে পরেছে। রোববার থেকে দিনে কয়েকটি ফেরি চললেও রাতে পুরোপুরি বন্ধ ছিল চলাচল।
মঙ্গলবার পানি কমে গিয়ে নাব্যতা সংকট প্রকট আকার ধারণ করলে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঠিক কবে চলাচল স্বাভাবিক হবে, তার নিশ্চয়তা না থাকায় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে নৌরুট। তবে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
পদ্মায় দ্রুত পানি কমতে থাকায় এই সংকট দেখা দিয়েছে বলে কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট সূত্র জানিয়েছে। এদিকে ঘাটে আটকে থাকা পরিবহনগুলো পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুট দিয়ে পারাপার হওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই কাঁঠালবাড়ি ঘাট ত্যাগ করতে শুরু করেছে।
বিআইডব্লিউটিএর সহকারী ব্যবস্থাপক (মেরিন) আহমদ আলী বলেন, চ্যানেলের খনন কাজে যারা নিয়োজিত (ড্রেজারে) কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি যে কবে নাগাদ চ্যানেলটি চালু করা সম্ভব হবে। তাই বিকল্প হিসেবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নাব্য সংকট প্রকট হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর ব্যবস্থাপক আবদুস সালাম মিয়া বলেন, নাব্য সংকট প্রকট হওয়ায় কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবহন ও ট্রাক চালকদের বিকল্প হিসেবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন ঘাট কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও জানান, আগামী শুক্র-শনিবারের মধ্যে কোনোভাবেই চ্যানেলটি চালু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। চ্যানেলের নাব্য সংকট কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু করা হবে।