শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯, ০৭:২৮:৪৯

যুবলীগের সম্মেলন: চেয়ারম্যান ও সা. সম্পাদক পদে আলোচনায় যেসব নেতা

যুবলীগের সম্মেলন: চেয়ারম্যান ও সা. সম্পাদক পদে আলোচনায় যেসব নেতা

নিউজ ডেস্ক : শুদ্ধি অভিযানের মতো বড় ধা'ক্কার পর কেমন হবে যুবলীগের কমিটি- সেই আলোচনা এখন সর্বত্র। ক্যাসিনো-কাণ্ডে আড়ালে চলে গেছেন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি আর যুবলীগের নেতৃত্বে থাকতে পারছেন না।

এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদেও আসতে পারে নতুন মুখ। যুবলীগের সাবেক নেতাদের চাওয়া- তরুণ, যুববান্ধব ও সৎ নেতৃত্ব। আর বর্তমানরা চান- ছাত্র ও যুব রাজনীতির অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ কর্মীবান্ধব, গতিশীল ও সহজপ্রাপ্য কাউকে।

এদিকে ২৩ নভেম্বরের সপ্তম কংগ্রেসকে সামনে রেখে শীর্ষ দুই পদ পেতে অনেকেই তৎপর। খোঁজ নিয়ে ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক পদে অনেকেই আলোচনায় আছেন।

চেয়ারম্যান হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন- যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ ও তার ছোট ভাই ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বর্তমান কমিটির সদস্য শেখ ফজলে ফাহিম (শেখ সেলিমের ছেলে), যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য- শহীদ সেরনিয়াবাত, ফারুক হোসেন, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন ও ডা. মোখলেছুর রহমান হিরু।

আর সাধারণ সম্পাদক পদে যারা আলোচনায় আছেন, তারা হলেন- বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন, অর্থ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হালদার, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু, সহসম্পাদক তাজউদ্দীন আহমেদ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমরা চাই- যোগ্য স্বচ্ছ ও পরিছন্ন ব্যক্তিরা নেতৃত্বে আসুক। সে ক্ষেত্রে নবীন ও অভিজ্ঞদের সমন্বয় থাকলে সংগঠন সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া যায়।

প্রেসিডিয়ামের আরেক সদস্য ডা. মোখলেছুর রহমান হিরু বলেন, সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করেছি। নেত্রী যদি দায়িত্ব দেন তাহলে আগামীতেও স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করব। 

মহিউদ্দিন আহমেদ মহি বলেন, আমরা চাই- যুবলীগের নেতৃত্বে যোগ্যরা আসুক।

এ ছাড়া যুবলীগকে ঢেলে সাজানো এবং তরুণদের নেতৃত্বে আনার সিদ্ধান্ত হলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্য থেকে শীর্ষ পদে জায়গা পেতে পারেন।

সে ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন- ইসহাক আলী পান্না, বাহাদুর ব্যাপারী, অজয় কর খোকন, নজরুল ইসলাম বাবু, মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগের মধ্য থেকে যে কেউ যুবলীগের মূল নেতৃত্বে আসতে পারেন।

জানতে চাইলে ইসহাক আলী পান্না বলেন, আমি কোনো প্রার্থী না। আমি বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনার কর্মী। তিনি যদি কোনো সাংগঠনিক পদে আমাকে দায়িত্ব পালন করতে দেন তাহলে আমি সেটাই করব।

অন্যান্য সময় কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা যুবলীগের সম্মেলন হতো। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। বর্তমান পরিস্থিতিতে মহানগর শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠানের পক্ষে নয় আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড; কারণ সম্প্রতি ক্যাসিনো কারবারের দায়ে সংগঠন থেকে বহিষ্কার হয়েছেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটসহ অনেকেই।

এদিকে যুবলীগের সম্মেলনের আগে এবার আলোচনায় এসেছে বয়সসীমা বেঁধে দেয়ার বিষয়টি। যদিও এখনও চূড়ান্ত হয়নি। রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুবলীগ নেতাদের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এই বয়সসীমার ওপর নির্ভর করবে আগামী কমিটিতে কারা নেতৃত্ব দেবেন। বর্তমান কমিটির দক্ষ ও ত্যাগী নেতাদের প্রায় সবারই বয়স ৫০-৬০ বছরের মধ্যে। বয়সসীমা ৬০ বছরের মধ্যে হলে বর্তমান কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসার সুযোগ পাবেন।

আর যদি বয়সসীমা ৪৫ থেকে ৫০ বছর বেঁধে দেয়া হয়, তবে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের ভাগ্য খুলে যাবে। সে ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মধ্য থেকে যুবলীগের চেয়ারম্যান কিংবা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে