নিউজ ডেস্ক : পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী আজ রবিবার। আরবী হিজরীর রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে ইসলাম ধর্মের মহান প্রচারক হযরত মুহম্মদ (সা.) মক্কার পবিত্র ভূমিতে জন্মগ্রহণ করেন। যে ভূমিতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন সেই সময় তা অজ্ঞানতার অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। মানুষের কোন অধিকার বলতে কিছু ছিল না। নারীদের মর্যাদা শূন্যের কোঠায়। নারী জন্মকে পাপ মনে করে জীবন্ত কবর দেয়া হতো। সেই সমাজে মহানবী ছোটকাল থেকেই আল আমিন বা সত্যবাদীরূপে বিশ্বাসী রূপে পরিচিতি লাভ করেন। ৪০ বছর বয়সে আল্লাহর নিকট থেকে অহি প্রাপ্তির পর দীর্ঘ ২৩ বছরের চেষ্টা আর সাধনায় একটি আলোকিত সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। ৬৩ বছর বয়সে আজকের এই দিনেই তিনি ইন্তেকাল ফরমান।
এ কারণে মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম এবং মৃত্যুর এই দিন বিশ্বের মুসলিম সমাজের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে এদিন আনন্দ এবং বেদনার। পরম শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গেই মুসলমানরা প্রিয় নবীকে স্মরণ করবেন। কণ্ঠে ধ্বনিত হবে ‘বালাগাল উলা বি-কামালিহি, কাসাফাদ্দোজা বি-জামালিহি, হাসানাতু জামিউ খিসালিহি, সাল্লো আলায়হি ওয়া লিহি।’ এদিকে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়া বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠন এ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এছাড়াও দিনটি পালন করতে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দিনটি যথাযথ মর্যদায় পালনের জন্য বিস্তারিত কর্মসূচী নেয়া হয়েছে।
আরব হেজাজে মহানবী সাল্লালাহু আলাইহি (সা.) প্রতিষ্ঠিত ধর্ম ইসলাম, কোরান এবং হাদিসের সত্যবাণী শুধু আরব সমাজে সীমাবদ্ধ থাকেনি। মহানবীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং তার সাহাবাদের মাধমে তা স্বল্প সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। সভ্যতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজকে আধুনিক সমাজে সত্যবাণী ও বিধান রূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। পবিত্র কোরানে আল্লাহতায়ালা মহানবীকে শুধু আরব সমাজে নয় সমগ্র বিশ্বের রহমত স্বরূপ তাকে প্রেরণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে আল্লাহতাআলা প্রেরিত কোরান শরীফ এবং এর বাণীকে আল্লাহ নিজেই হেফাজতকারী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।