বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১০:১৬:১০

সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞ হোলি আর্টিজান হা'ম'লায় নিহ'ত ফারাজের পরিবার

সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞ হোলি আর্টিজান হা'ম'লায় নিহ'ত ফারাজের পরিবার

নিউজ ডেস্ক : গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্তোরায় জ'ঙ্গি হা'ম'লার মামলায় গ্রেপ্তার নব্য জেএমবির সাত সদস্যের মৃ'ত্যুদ'ণ্ড এবং এক আ'সা'মির খা'লা'স দেন ঢাকার স'ন্ত্রা'স বি'রো'ধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবর রহমান বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন। 

২০১৬ সালের ১ জুলাই হোলি আর্টিজানে স'ন্ত্রা'সী হা'ম'লায় ২০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিক নি'হ'ত হন। এদের মধ্য ছিলেন দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী ট্রান্সকম গ্রুপের কর্ণধার লতিফুর রহমানের নাতি ফারাজ আইয়াজ হোসেন। শিল্পপতি সিমিন হোসেন ও ওয়াকার হোসেনের ছোট ছেলে ফারাজ। মেধাবী ফারাজ যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতেন।

রায়ের পর পরিবারের পক্ষ থেকে ফারাজ হোসেনের ভাই যারেফ আয়াত হোসেন প্রতিক্রিয়ায় বলেন, '২০১৬ সালের ১ জুলাই হোলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার কথা আজ আমরা স্মরণ করছি। সেদিন রাতে আমরা আমাদের প্রিয় ফারাজ আইয়াজ হোসেনকে হারিয়েছি। দুই বন্ধুকে বিপদে ফেলে না গিয়ে ফারাজ যে ব্যতিক্রমী সাহসিকতা, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও অসামান্য মূল্যবোধের নজির রেখে গেছে সে জন্য আমরা ভীষণভাবে গর্বিত।' 

ফারাজ হোসেনের ভাই বলেন, একজন বাংলাদেশি মুসলিম হওয়ার কারণে জ'ঙ্গি'রা তাকে ঘটনাস্থল ছেড়ে যেতে বললেও ফারাজ তাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং বন্ধুদের র'ক্ষায় নিজের জীবনই উৎসর্গ করেছে। ওই রাতে ফারাজ যে সত্যিকারের উদাহরণ তৈরি করেছে, বাংলাদেশ সেই মূল্যবোধই ধারণ করে।

যারেফ আয়াত হোসেন বলেন, স'ন্ত্রা'সবাদের হু'ম'কি মো'কাবি'লায় জিরো ট'লারে'ন্স (শূন্য সহনশীলতা) নীতি গ্রহণ করায় আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমাদের গভীর কৃ'তজ্ঞ'তা জানাই। এটি স'ন্ত্রা'সবা'দের বিরুদ্ধে অভিন্ন অবস্থান নিতে বাংলাদেশের জনগণকে প্র'চ'ণ্ডভাবে চালিত করেছে ও ঐক্যবদ্ধ করেছে। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে