কলকাতা থেকে : অফ-হোয়াইট জামদানি শাড়ি। আর তাতে রং-বেরংয়ের মসলিনের সুতো দিয়ে বুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবয়ব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই অনবদ্য হস্তশিল্পের কাজটি শেষ করে কবে তা শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেবেন, সেই স্বপ্নে বিভোর পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ফুলিয়ার রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত তাঁতী বীরেন বসাক।
বীরেন বসাক বলেন, '১৯৫১ সালে টাঙ্গাইলে আমার জন্ম। শেখ হাসিনা আমার জন্মভূমির প্রধানমন্ত্রী। আমি হাতে বুনেছি এই শাড়ি ওনাকে দেওয়ার জন্য। শুধু প্রধানমন্ত্রীর মায়াময়ী ছবিই নয়, এই শাড়িতে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের নদী, গাছপালা এবং আওয়ামী লীগের প্রতীক পালতোলা নৌকা। আমাকে বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশের অনেক শাড়ি ব্যবসায়ী জানিয়েছেন যে, জামদানি শাড়ি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনেক পছন্দের। আমার তরফ থেকে ওনাকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এই শাড়ি বুনেছি আমি।'
'অবশ্য জামদানির এই শাড়ি পড়া সম্ভব নয়', জানালেন তাঁতী। 'দেয়ালে শো-পিস হিসেবে ঝুলিয়ে রাখা যেতে পারে'। তিনি আরো জানান, কোনো কম্পিউটার গ্রাফিক্সের কাজ ছাড়াই এই শাড়ি বুনেছেন ছয় মাসের প্রচেষ্টায়। তিনি বলেন, 'প্রথম তিনবার যেভাবে বুনেছিলাম তা আমার নিজেরই পছন্দ হয়নি...তাই আবার চেষ্টা করলাম।'
মার্চ মাসে মুজিববর্ষ উৎসব শুরু হওয়ার সময় ঢাকায় উপস্থিত হয়ে নিজের হাতে নেত্রীকে শ্রদ্ধার্ঘ্য তুলে দেওয়ার স্বপ্নে এখন বিভোর বীরেন। অভিনব হস্তশিল্প বোনার প্রচেষ্টা এই প্রথম নয় বীরেনের। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবিসহ শাল এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ছবিসহ শাড়ি বুনেছেন এই সেলিব্রিটি তাঁতী শিল্পী।