সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ১০:২৮:০৬

মাত্র ৫ বছরে শত কোটি টাকার মালিক পাপিয়া

মাত্র ৫ বছরে শত কোটি টাকার মালিক পাপিয়া

নিউজ ডেস্ক : শনিবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়া ও তার স্বামীসহ ৪ জনকে আ'টক করে র‌্যাব। পাপিয়া ছাড়া আ'টক অন্যরা হল তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন, সুমনের ব্যক্তিগত সহকারী এক তরুণী ও তাদের আরেক সহযোগী সাব্বির খন্দকার।

নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামিমা নূর পাপিয়া। অটো গ্যারেজের মালিকের মেয়ে। এক সময় তাদের তেমন কিছুই ছিল না। গত ৫ বছরে অর্থ বিত্ত অর্জন করে আঙুল ফুলে গলা গাছ হয়ে গেছেন। গাড়ি, বাড়ি, ফ্ল্যাট কিনে বনেছেন শত কোটি টাকার মালিক। দেশে গাড়ির ব্যবসার পাশাপাশি বিদেশে দিয়েছেন বার। 

আর সবই করেছেন, অ'ন্যা'য় ও অ'পক'র্মের ওপর ভর করে। ধনী ব্যবসায়ীদের ব্লা'কমে'ইল, চাঁ'দাবা'জি, মা'দক ব্যবসা ও দে'হ ব্যবসাই তাদের মূল পেশা। ২০১২ সালের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নরসিংদী শহরের বাসাইল এলাকায় নিজ বাসার সামনে সুমনের ওপর গু'লি চালায় স'ন্ত্রা'সীরা। এ সময় স'ন্ত্রা'সীদের ছোড়া গু'লিটি বি'দ্ধ হয় তার স্ত্রী পাপিয়ার পেটে। এরপর তারা নরসিংদী ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি জমান।

ঢাকার এক এমপির সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে পাপিয়ার। এরপর থেকে পাপিয়া চৌধুরী ও তার স্বামী সুমন ওরফে মতি সুমন রাজধানীর সাবেক এক সংর'ক্ষি'ত এমপির আ'স্থাভা'জন হয়ে ওঠেন। ওই এমপির সঙ্গে তার গাড়ির ব্যবসা আছে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে পাপিয়া ও সুমনের অস্বা'ভাবিক উ'ত্থান হয়। ২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর জেলা যুব মহিলা লীগের সম্মেলনে তৌহিদা সরকার রুনা সভাপতি ও পাপিয়া চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়।

এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শুরু হয় অস্বা'ভাবিক উ'ত্থান। আর এ সবই করেছেন রাজধানী ঢাকায় বসে। মাঝে মধ্যেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের মিটিং-মিছিলে দলবল ও বহর নিয়ে যোগ দিতেন এই দম্পতি। নরসিংদী শহরে সুমন চৌধুরীর কেএমসি কার ওয়াশ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। কার ওয়াশ ব্যবসার আ'ড়ালে এখানে মা'দক ব্যবসাসহ বিভিন্ন স'ন্ত্রা'সী কর্মকা'ণ্ড চলে। পাপিয়ার স্বামীর মালিকানায় থাইল্যান্ডে একটি বারও আছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে