মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ১২:৫৪:৫৬

অ'শ্লীল ভিডিওতে ঠাসা পাপিয়ার মোবাইল ফোন, পাপিয়ার সঙ্গীদের খোঁজে র‌্যাব

অ'শ্লীল ভিডিওতে ঠাসা পাপিয়ার মোবাইল ফোন, পাপিয়ার সঙ্গীদের খোঁজে র‌্যাব

নিউজ ডেস্ক : অ'শ্লী'ল ভিডিওতে ঠা'সা সদ্য ব'হি'ষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীম নূর পাপিয়া ওরফে পিউর মোবাইল ফোন। এসব ভিডিওতে সুন্দরী তরুণীদের সঙ্গে উঠতি শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী ছাড়াও আ'মলা এবং কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার অ'শ্লী'ল ছবি রয়েছে।

এসব পার্টিতে উপস্থিত হতেন সমাজের উচ্চস্তরের লোকজন। ম'দের পাশাপাশি পার্টিতে উপস্থিত থাকত উঠতি বয়সী সুন্দরী তরুণীরা। ম'দের নে'শায় টা'লমা'টাল আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কৌ'শলে ধা'রণ করা হতো ওই তরুণীদের অ'শ্লী'ল ভিডিও। পরে ওইসব ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভ'য় দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করতেন পাপিয়া।

বনিবনা না হলেই ফেসবুকে ছড়িয়েও দেয়া হতো। নাম প্রকাশ না করার শ'র্তে র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাথমিক জি'জ্ঞা'সাবাদেই পাপিয়ার কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক মাথা ঘুরিয়ে দেয়া খবর। পাপিয়ার অ'পকর্মের সঙ্গীদের ধ'রতে এরই মধ্যে একা'ধিক অ'ভিযা'ন চালানো হয়েছে। অ'ভিযা'ন চলছে।

তবে এসব অভি'যান নিয়ে র‌্যাব এখনই মুখ খুলতে চাইছে না। এদিকে অ'স্ত্র, মা'দক ও জাল টাকা উ'দ্ধারের ৩ মামলায় পাপিয়া দম্পতির ১৫ দিনের রিমা'ন্ড ম'ঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার শুনানি শেষে ঢাকার দুই হাকিম আদালত আসামিদের রিমা'ন্ডে পাঠান। কোর্ট রিপোর্টার জানান, সোমবার দুপুরে আসামিদের সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়।

র‌্যাবের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাল টাকা এবং নারী'ঘটিত কেলে'ঙ্কা'রির ঘটনা ত'দ'ন্ত করতে গিয়ে পাপিয়ার অজানা সব কাহিনী বেরিয়ে আসছে। বিদেশে টাকা পা'চারসহ ভ'য়ং'কর সব অ'পরা'ধে জড়িত হওয়ার বিষয়টি নি'শ্চিত হওয়ার পরই তাকে গ্রে'ফতার করা হয়। এসব ঘটনায় তার সঙ্গে আর কারা জড়িত জি'জ্ঞা'সাবাদে সে তথ্যও মিলেছে। অভি'যান অব্যাহত আছে।

র‌্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, অ'পকর্ম করে অল্প সময়েই তিনি নরসিংদী ও ঢাকায় একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের মালিক বনে গেছেন। পাপিয়ার স্বামী সুমন স্ত্রীর ব্যবসায় সহযোগিতার পাশাপাশি থাইল্যান্ডে বারের ব্যবসা করেন। তবে তাদের মূল ব্যবসা ছিল উঠতি শিল্পপতি-ব্যবসায়ীসহ সমাজের উঁচুস্তরের লোকদের ব্ল্যা'কমে'ইল করে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায়।

আ'টক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা বলেছেন, নরসিংদী ও ঢাকার অনেক তরুণীকে চাকরির নামে তারকা হোটেলে ডেকে পার্টি গার্ল হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এ ছাড়া ফেসবুকে প্রকাশ্যে যৌ'ন ব্যবসার গ্রপ 'এসকর্ট' থেকেও সুন্দরীদের সংগ্রহ করতেন পাপিয়া। পরে টাকার প্রলো'ভন দেখিয়ে অনেককে শয্যাসঙ্গী করতে বা'ধ্য করতেন। এসব কু'কর্মের বেশকিছু ভিডিও এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। 

কী আছে এসব ভিডিও ক্লিপে? এমন প্রশ্নে র‌্যাব কর্মকর্তা বলেছেন, পাপিয়ার মোবাইল ফোন অ'শ্লী'ল ভি'ডিওতে ঠাসা। অ'শ্লী'ল ভিডিও তুলে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতেন পাপিয়া। লজ্জায় কেউ মুখ খুলত না। এসব ভিডিওতে থাকা ৭ জন উঠতি বয়সী তরুণীর সঙ্গে র‌্যাবের কথা হয়েছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, টিপসের বাইরে এসব তরুণীকে মাসে ৩০ হাজার টাকা করে দিতেন পাপিয়া।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে