নিউজ ডেস্ক : সালমান শাহর মৃ'ত্যুর'হস্য নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া প্রতিবেদন প্র'ত্যা'খ্যা'ন করেছে তার পরিবার। সোমবার পিবিআইর সংবাদ সম্মেলনের পরপরই ম্যানচেস্টারে অবস্থান করা নীলা চৌধুরী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই প্রতিবেদন মনগড়া।'
নীলা চৌধুরী বলেন, প্রতিবেদনে যে সাক্ষীর কথা বলা হয়েছে সেগুলো সাজানো। বিপ্লব যে বলছে ইমনের (সালমান শাহ) বন্ধু... কী নাম, সৌমিক? সে তো ইমনের বন্ধু ছিল না, সৌমিক ছিল সামিরার পুরোনো প্রেমিক। তার সন্তানের সঙ্গে তার তো কোনো বিরোধ ছিল না। এ সবকিছুই সাজানো নাটক, আমি মানি না, মানবো না।
সালমান শাহর পরিবারের অন্য সদস্যরাও বলেছেন পিবিআইর উল্লিখিত ত'দ'ন্ত প্র'শ্নবি'দ্ধ। নীলা চৌধুরী বলেন, তদ'ন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে কোর্টে। কোর্ট আমাদের তারিখ দেবে, সেখান থেকে আমরা প্রতিবেদন গ্রহণ করবো। আমি গ্রহণ করার পর জনগণ জানবে। সালমান শাহ কি বনজকুমারের ক্ষ'তি করেছে? আমার ছেলের বাচ্চা হবে কি হবে না কে বলেছে? বিয়ের চার বছর, ইমনের বয়স চব্বিশ বছর। এরমধ্যেই বাচ্চা হবে কি হবে না ডিক্লেয়ার হয়ে গেল?
নীলা চৌধুরী এক টেলিভিশনের সাথে কথা বলতে গিয়ে বলেন, বনজকুমার কিন্তু পেজগুলো পড়তে গিয়ে বলছেন পরে পড়ছি পরে পড়ছি, এগুলোও কিন্ত ফাঁ'কি দেওয়ার আলামত। ইমনের বাচ্চা হবে না এসব কথা কেন? ইমনের কী এমন বয়স হয়েছিল? আর বাচ্চা হয়নি কে বলেছিল? সামিরার পেটে বাচ্চা এসেছিল। চট্টগ্রামে গিয়ে সামিরা ওয়াশ করে পরের দিন চলে আসে।
তিনি বলেন, আমি ইমনকে জিজ্ঞেস করলাম সামিরা কোথায়, সে আমাকে জানালো সামিরা চট্টগ্রামে। ইমনের বাসায় আমি কাজের মেয়ে-ছেলে এনে দিয়েছিলাম। সামিরার মা তাদের সরিয়ে দিয়েছিল। আমি মিথ্যা বলি না। আমি রোজা রয়েছি। ইমন মারা যাওয়ার পর আমি সপ্তাহে দুইদিন রোজা রাখি। আজীবন রোজা রেখে যাবো।
দেশের নামকরা চিত্রপরিচালক আলমগীর কুমকুম সালমান শাহর মামা। তিনি এখন সিলেট নগরীর দাড়িয়াপাড়ার সালমান শাহ হাউসেই থাকেন। পিবিআইর সংবাদ সম্মেলনের পর গতকাল আলমগীর কুমকুমও প্রতি'ক্রি'য়া দেন। তিনি ওই প্রতিবেদন প্র'ত্যাখ্যা'ন করে বলেন, 'পিবিআইর ত'দ'ন্তে আলামত বিশ্নেষণ করা হয়নি। রাজসাক্ষীর সঙ্গে কথা বলা হয়নি। এ ত'দ'ন্ত প্রশ্নবি'দ্ধ।'
তিনি বলেন, পৃথিবীতে একমাত্র সালমান শাহ এমন একজন তারকা, তার জন্য ৪৬ ভক্ত আ'ত্মাহু'তি দিয়েছেন। সামিরাকে ডিভোর্স করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার একরাতের মধ্যেই সালমানকে সরিয়ে দেওয়া হয়। প্রয়োজনে উচ্চ আদালত কিংবা আন্তর্জাতিক আদালতে যাব। যতদিন বেঁচে থাকব সালমান ভক্তদের নিয়ে আন্দোলন করে যাব। পিবিআই প্রতিবেদন দেবে আদালতে। সংবাদ সম্মেলন করে তা প্রকাশ করার মানে কী?