বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ০১:৩৭:৪৬

পরিচয় জানা গেছে মৃ'ত দুই নারীর: সন্দে'হ স্বজনের

পরিচয় জানা গেছে মৃ'ত দুই নারীর: সন্দে'হ স্বজনের

নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে মাহাখালী থেকে উদ্ধা'র নিহ'ত দুজনের বি'স্তারিত পরিচয় জানা গেছে। এদের একজন সৈয়দা কচি (৩৮)। কিশোরগঞ্জ কুলিয়ারচর পৌরসভার পাচুলিয়া বাজিতপুর এলাকার মৃ'ত সৈয়দ ফজলুল হকের মেয়ে তিনি। নিহ'ত অপরজন সৈয়দ সোনিয়া আমিন (২৫)। ভোলা সদর উপজেলার সিকদার বাড়ির নুরুল আমিনের মেয়ে তিনি।

তাদের মৃ'ত্যু নিয়ে সন্দে'হ প্রকা'শ করেছেন সৈয়দা কচির মামা।

নিহ'ত কচির মামা অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন ভূঁইয়া জানান, তিনি মিরপুর ১ নম্বরে থাকেন। রাতে তার গ্রামের বাড়ি থেকে ফেসবুকে কচির নিউজ ও ছবি দেখে একজন ফোন দিয়ে জানায়। এরপর ভোরে ঢাকা মেডিকেলের ম'র্গে কচির লা'শ সনা'ক্ত করেন তিনি।

তিনি জানান, কচি উত্তরায় পার্ল ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে আর্ন্তজাতিক মানের কসমেটিকস পণ্য বিপণন ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানের চাকরি করত। বাণিজ্যমেলায়ও তাদের স্টল ছিল। সাত/আট বছর ধ'রে সে এই চাকরি করত। অবিবাহিতা ছিল কচি। দুই বোনের মধ্যে সে ছোট। তার বাবা-মা দুজনই মৃ'ত। বড় বোনের নাম চুমকি। কল্যাণপুরের একটি বাসায় এক রুমে ভাড়া থাকত সে। নিজের স্কুটার দিয়েই চলাফে'রা করত। বছরখানেক আগে সে একটি পত্রিকায় রিপোর্টিংয়ে চাকরি নিয়েছিল বলে শুনেছিলাম। তবে তারপর সে পত্রিকার চাকরি ছে'ড়ে দেয়। কোন পত্রিকায় চাকরি নিয়েছিল তা বলতে পারছি না। তখনই তার স্কুটারে প্রেস লেখা ছিল।

তিনি বলেন, কচি সকাল ৯টায় বাসা থেকে বের হয়ে অফিসে যেত। আবার রাত ১১টার আগেই বাসায় ফিরত। তবে গতকাল (মঙ্গলবার) এত রাতে কোথায় যাচ্ছিল তা বলতে পারি না। আর এত জনবহু'ল জায়গায় এমন দুটি মেয়ের লা'শ পড়ে ছিল কেউ কিছু বলতে পারছে না, বিষয়টা আমরা বুঝতে পারছি না। সেখানে আশেপাশে অনেক সিসিটিভি ক্যামেরাও থাকবে। পুলিশও কিছুই বলতে পারে না কোনো গাড়ি ধা'ক্কা দিয়েছে কি না। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে অন্য কোনো ঘট'না।

নিহ'ত সোনিয়ার মা মনোয়ারা বেগম জানান, দুই মেয়ে, দুই ছেলের মধ্যে সোনিয়া ছিল তৃতীয়। সে আগে ভারতীয় কসমেটিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। মাঝেমাঝেই ভারতে যেত। সেখানে থাকত। সেখানে চাকরি করা অবস্থায় সৈয়দ মহাসিন নামের এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্প'র্ক হয়। এরপর নয় মাস আগে তারা বিয়ে করে। কিছুদিন আগে সে দেশে আসে। তার পরিবার মিরপুর ১ নম্বর শাহআলী থানার পাশে থাকে।

তিনি জানান, কচি আর সোনিয়া রাতে বনানীতে নীলু নামের আরেক তাদের এক আপার বাসায় যায়। সেখান থেকেই রাতে দুজনে মিরপুরের বাসায় ফিরছিল। বর্তমানে সে বেকার ছিল। চলতি মাসের ১৭ তারিখ সে ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে করোনাভাইসারের কারণে সে ভিসা জ'টি'লতায় আর যেতে পারেনি। আগামী মাসে যাওয়ার কথা ছিল।

মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর মহাখালী সেতু ভবনের সামনের রাস্তা থেকে এ দুই নারীর লা'শ উদ্ধা'র করা হয়। রাস্তার ওপর স্কুটারসহ পড়ে ছিল তারা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধা'রণা তারা সড়ক দু'র্ঘট'নায় নিহ'ত হয়েছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদশর্ক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে অচে'ত'ন অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালের জরু'রী বিভাগে নিয়ে আসেন পথচারীরা। পরে চিকিৎ'সকরা তাদের দুজনকে দেখে মৃ'ত ঘোষ'ণা করেন। পরে মৃ'তদে'হ দুটি ম'র্গে পা'ঠানো হয়।

বনানী থানার ডিউটি অফিসার মো. ফজল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে রাত পৌনে ১টার দিকে সেতু ভবনের সামনে স্কুটার চা'লিয়ে যাওয়ার সময় কোনো যানবাহনের ধা'ক্কা'য় স্কুটারে থাকা দুই নারী আহ'ত হযন। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকি'ৎসক মৃ'ত ঘো'ষণা করেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে