বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০২০, ১০:৫২:৫৩

দেশের সব মসজিদের ইমাম-খতিবদের উদ্দেশে আল্লামা শফীর ৬ বিশেষ পরামর্শ

দেশের সব মসজিদের ইমাম-খতিবদের উদ্দেশে আল্লামা শফীর ৬ বিশেষ পরামর্শ

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ অন্যতম একটি মুসলিম প্রধান দেশ। দেশে তিন লাখের অধিক মসজিদ রয়েছে। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে লাখ লাখ মানুষ অংশ নেন। মসজিদের সঙ্গে রয়েছে তাদের আত্মিক সম্পর্ক। মসজিদ হল সবচেয়ে নিরা'পদ জায়গা। আল্লাহর দৃষ্টিতে পৃথিবীর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট স্থান মসজিদ। 

তাই করোনা ভাই'রাসের প্রাদু'র্ভাবে চলমান পরি'স্থিতিতে দেশের সব মসজিদের ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিন ও মুতাওয়াল্লিদের উদ্দেশে ছয়টি পরামর্শ দিয়েছেন হেফজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আনাস মাদানীর পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

১. আমাদের দেশের জনগণ করোনা ভাইরাস ইস্যুতে এখনও পরিপূর্ণ সচেতন নন। এমন নাজুক পরিস্থিতিতেও ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় বিধিনিষে'ধ তোয়া'ক্কা করছেন না। অথচ এ পরি'স্থিতিতে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আল্লাহমুখী হওয়া। কারণ তওবা ইসতেগফার ও কা'ন্নাকা'টির মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার আ'জাব ও গ'জব থেকে আমরা বাঁচতে পারব। তাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে বিশেষ মুনাজাত করুন। তওবা ইসতেগফার করুন। সুন্নাতসম্মত দোয়ার আমল করুন।

২. বাংলাদেশে লকডাউন ঘোষণা হলে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমগণ মিলে হলেও নামাজের জামাত কায়েম করতে হবে। মসজিদ বন্ধ করা যাবে না। তবে সুন্নত ও নফল নামাজ ঘরে আদায় করার প্রতি মুসল্লিদের তাকিদ দিন। আর সত'র্কতার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব আমল চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন।

৩. দেশের চলমান পরি'স্থিতিতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে দিনমজুর ও সমাজের নিম্নবিত্তের মানুষ। তাই ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিন ও মসজিদ কমিটির দায়িত্বশীলগণ তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসুন। সমাজের বিত্তশালীদের সঙ্গে পরামর্শ করে অসহায় মানুষদের হাতে চাল, ডাল, তেল, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দিন।

৩. মসজিদে মসজিদে অজুর আগে হাত ধোয়ার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করুন। ফরজ নামাজ ও জুমার বয়ানে সংক্ষিপ্ত আকারে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আলোচনা করুন। গুজব, কানকথা, ভিত্তিহীন ও তথ্যহীন আলোচনা থেকে বিরত থাকুন। বিদেশ ফেরত ও অসুস্থ ব্যক্তিদের মসজিদে না এসে তাদের ঘরে নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিন।

৪. প্রত্যেক মহল্লার ইমাম ও সচেতন উলামায়ে কেরাম প্রত্যেকেই নিজ দায়িত্বে দোয়া ইউনুস, কুরআন খতম ও রোগমুক্তির জন্য বিশেষ দোয়ার আমল করুন।

৫. "লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জালিমিন।" এই আয়াত সবাইকে বেশি বেশি পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করুন। এবং ঘর থেকে বের হওয়ার আগে "বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআস মিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামায়ি ওয়া হুওয়াস সামিউল আলিম।' উক্ত দোয়াটি নিয়মিত পড়তে বলুন।

৬. কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তার কাফন-দাফনের ব্যবস্থা ও জানাজা পড়ানোর ব্যাপারে গাফিলতি করবেন না। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে নিয়মমাফিক সবকিছুর আঞ্জাম দেয়ার চেষ্টা করবেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে