রবিবার, ০৫ এপ্রিল, ২০২০, ০৫:২২:০৮

যে কারণে বাংলাদেশে করোনার প্রভাব কম: গবেষণা

যে কারণে বাংলাদেশে করোনার প্রভাব কম: গবেষণা

নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সং'ক্রমণ ও বি'স্তার নিয়ে চলছে নানা গবেষণা। গবেষকরা বলছেন, ৩০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় কোনো বস্তু কিংবা বাতাসে টি'কে থাকতে পারে না ভাইরাসটি। ফলে বাংলাদেশের মতো উষ্ণমণ্ডলীয় দেশ তুলনামূলক নিরাপদ বলেও মনে করছেন তারা। সুফল পেতে পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিতের পাশাপাশি এসি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কোভিড-১৯ বিস্তারের গতিপথ চি'হ্নিত করে তা নিয়'ন্ত্রণে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা। বলা হচ্ছে, বেশি তাপমাত্রা আর বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকা ভাইরাসটি বিস্তারের অ'ন্তরায়। এ গবেষণাকে আমলে নিয়ে সাধারণ মানুষকে এসি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টডক্টরাল রিসার্চ ফেলো ড. মোহাম্মদ ফজলুল করিম বলেন, যেখানে তাপমাত্রা বা আদ্রতা বেশি সেখানে এই ভাইরাস ন'ষ্ট হয়ে যেতে পারে বা ইফে'কশন ক্যাপাসিটি কমে যেতে পারে।সিঙ্গাপুরের গবেষকরা বলছেন, ৩০ ডিগ্রির অধিক তাপমাত্রা ও বাতাসে ৮০ শতাংশের বেশি আদ্রতা করোনা বিস্তারের অ'ন্তরায়। আর এ মুহূর্তে দেশের তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি, আদ্রতাও ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। যদিও এ গবেষণা নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে, তবে দেশের বাস্তবতায় অযৌ'ক্তিক মনে করছেন না দেশীয় গবেষকরা।

বায়ুমান গবেষক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ তাপমাত্রা এবং আদ্রতা যেকোনও ভাইরাসের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা খেয়াল করেছি অধিকাংশ নিম্ন তাপমাত্রার দেশগুলোতে বেশি আক্রা'ন্ত হয়েছে।   

বাংলাদেশের এ বায়ুমান গবেষক বলছেন, শুধু জীবা'ণুকে বাঁ'চিয়ে রাখা নয়, বাতাসে ভেসে বেড়ানো সূ'ক্ষ্ণ ধুলিকণায় ভর করে থাকা জীবা'ণু টে'নেও আনতে পারে এসি। তাই দরজা-জানালা খোলা রাখা এবং বার বার পরিচ্ছন্নতার পরামর্শ তার।

ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার আরও বলেন, জীবা'ণুগুলো ঘরের আসবাবপত্রে লে'গে থাকতে পারে। যখন তাপমাত্রা কম থাকবে তখন সেই জীবা'ণুগলো ধ্বং'স না হয়ে দীর্ঘক্ষ'ণ জীবিত থাকবে। এই সময় এসি ব্যবহার না করে প্রাকৃতিকভাবে বায়ু সঞ্চালন করা উচিত।

তবে যেহেতু এ মহামা'রীর প্রধান বাহক মানুষ। তাই শারীরিক দূরত্বকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: সময়টিভি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে