মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০, ০১:১৭:৪১

কেবিনের জানালা দিয়ে বের হয়ে বেঁচে ফেরা সেই যাত্রীর মুখে লঞ্চ ডুবির ভয়ানক বর্ণনা

কেবিনের জানালা দিয়ে বের হয়ে বেঁচে ফেরা সেই যাত্রীর মুখে লঞ্চ ডুবির ভয়ানক বর্ণনা

নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশত যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ডুবির ঘ'টনায় এ পর্যন্ত ৩৬ জনের লাশ উ'দ্ধা'র করা হয়েছে। উ'দ্ধা'রকাজে অংশ নেওয়া কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে এ ত'থ্য জানা গেছে। আজ সোমবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এমএল মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি এলাকা থেকে সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। সদরঘাটের কাছেই ফরাসগঞ্জ ঘা'ট এলাকায় নদীতে লঞ্চটি ডু'বে যায়।

কিন্তু কীভাবে লঞ্চটি ডু'বে গেল? কেবিনের জানালা দিয়ে বে'র হয়ে সাঁতরে বেঁচে ফে'রা মো. মাসুদ নামে এক যাত্রীর বর্ণনায় উঠে আসে সেই ভ'য়ানক ঘ'টনা। মাসুদ জানান, ময়ূর টু নামে একটি লঞ্চ ধা'ক্কা দিলে মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যে লঞ্চটি ডু'বে যায়।

যাত্রী মাসুদ বলেন, ‘ঘাটে ভেড়ার জন্য আমাদের লঞ্চ সো'জা আসছিল। অন্য একটা লঞ্চ তে'ছড়াভাবে (বাঁ'কা) রওনা দিছে। তে'ছড়াভাবে রওনা দেওয়াতে ওই লঞ্চটা বাড়ি দিছে আমাদের লঞ্চের মাঝে। বাড়ি দেওয়ার সাথে সাথে লঞ্চটা কাই'ত হয়ে ডু'বে গেছে। তলায় যেতে ১০ সেকেন্ডও সময় নেয় নাই। আমি কেবিনে ছিলাম। গ্লাস খু'লে আমি বে'র হইছি। ভেতরে আমার আপন দুই মামা ছিলেন। তারা তো বের হতে পারেন নাই। তাদের খোঁ'জ করছি।’

মাসুদের সঙ্গে লঞ্চে ছিলেন তার আপন দুই মামা আফজাল শেখ ও বাচ্চু শেখ। মাসুদ সাঁতরে বেঁ'চে ফিরলেও তার দুই মামা লঞ্চ থেকে বের হতে পারেননি। তার ভা'ষ্যমতে ১৫০ জন যাত্রী ছিলেন লঞ্চের মধ্যে। ৫০ জনের মতো যাত্রী সাঁতরে পাড়ে ওঠেন, বাকিরা পারেননি। তার নিখোঁ'জ দুই মামার জন্য মাসুদ জেটিতে অপেক্ষা করছেন এখন।

‘দু'র্ঘট'নার পর লঞ্চে থাকা প্রায় ৫০ জনের মতো যাত্রী আমরা সাঁতরে উঠতে পারছি। বাকি যাত্রী কেউ উঠতে পারে নাই। তারা লঞ্চের ভেতরেই ছিল। আমরা প্রায় ১৫০ জনের মতো লোক ছিলাম’-ঠিক এভাবেই বলছিলেন মাসুদ।

মাসুদ রাজধানীর ইসলামপুরের গুলশানআরা সিটিতে কাপড়ের ব্যবসা করেন তিনি। প্রতিদিন তিনি সকালে মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসে কাপড়ের দোকান করেন। গতকাল রোববার ময়মনসিংহ থেকে তার দুই মামা তাদের মুন্সিগঞ্জের বাসায় বেড়াতে যান। তাদের নিয়ে আজ সকালে লঞ্চের একটি কেবিনে করে ঢাকায় ফিরছিলেন। কিন্তু পাড়ে ভেড়ার আগ মুহূর্তে লঞ্চটি দু'র্ঘট'নার ক'ব'লে পড়ে যায়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে