বুধবার, ০৮ জুলাই, ২০২০, ১০:১৭:৫৫

করোনার ছো'বলে চাকরি হা'রিয়ে সবজি বিক্রি করে চলছে সংসার

করোনার ছো'বলে চাকরি হা'রিয়ে সবজি বিক্রি করে চলছে সংসার

নিউজ ডেস্ক : করোনাভাইরাস মানুষের প্রাণহা'নির পাশাপাশি জীবিকায় এনেছে বড় ধরনের পরিবর্তন। করোনার ছো'বলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি হা'রিয়ে কেউ সবজি বিক্রেতা, কেউ বা রাইড শেয়ারিং কোম্পানির চালক। চক্ষুল'জ্জায় এমন কাজে জড়াতে না পারলেও কর্মহীন হয়ে পড়ায় দি'শেহারা বিভিন্ন পেশার মানুষ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ ধরনের বিপ'র্যয় কা'টিয়ে উঠতে দ্রুত সরকার ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনার অর্থ ছাড় করতে হবে। 

সারওয়ার হোসেন। দীর্ঘ ১৪টি বছর পোশাক শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত মাসে একটি কারখানায় সুপারভাইজার পদে থাকা অবস্থায় ছাঁটাইয়ের শি'কার হন। বাধ্য হয়ে সবজি বিক্রি করেই চালাচ্ছেন সংসার। একই পরিণতি শাহাদাত হোসেনের। ১৭ বছরের চাকরি হারিয়ে তিনিও সবজি বিক্রেতা।

সারওয়ার হোসেন বলেন, একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করতাম। সেখানে সুপারভাইজার পোস্টে ছিলাম। সেই প্রতিষ্ঠান আমাকে ছাঁ'টাই করে দিয়েছে। এখন সংসার চালাতে আমি কাঁচামাল বিক্রি করছি।  শাহাদাত হোসেন বলেন, চাকরি তো ১৭ বছর করেছি, এই যে ভ্যান চালানো তো জানতাম না। এখন চাকরি হা'রিয়ে ছোট পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছি। 

রাইড শেয়ারিং চালক এখন তারা। একজন ছিলেন এনজিও কর্মকর্তা, অপরজন দোকান মালিক। করোনার ভ'য়াবহ প'রিস্থিতি পা'ল্টে দিয়েছে তাদের পেশার ধরন। একজন বলেন, চাকরি করতাম একটি এনজিওতে। এখন চাকরিটি হারিয়ে খুবই বিপা'কে পড়েছি। তাই বাইক চালিয়ে কিছু টাকা উপার্জন করছি। তাতে সংসার কোনভাবে চলছে।  

ডিজিটাল পদ্ধতিতে কিছু কাজকর্ম চালু থাকলেও কার্যত বন্ধ রয়েছে আদালতের কার্যক্রম। এতে আয় রোজগার সংকুচিত হওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন কোন কোন আইনজীবী। একই অবস্থা চাকরীচ্যুত সংবাদকর্মীদেরও।

ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রতন মিয়া বলেন, কোর্ট বন্ধ থাকায়, আমি আর্থিকভাবে খুবই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। তাই পাশাপাশি কিছু করা যায় কি না চেষ্টা করছি। 

চাকরীচ্যুত এক সংবাদকর্মী বলেন, যারা চাকরীচ্যুত হয়েছেন, তারা এখন কোথায় যাবে। করোনা গণমাধ্যম মালিকদের জন্য বড় একটি অজুহাত দাঁড় করিয়েছে।  এমন প'রিস্থিতিতে কর্মহীনদের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে ব্যাংক ও এনজিও'র মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে অর্থ সহায়তা দেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদের।

অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, যারা অস্থায়ী-খাতে আছেন, তাদের জীবিকা নির্বাহ করারজন্য, তাদের কর্মকে ধরে রাখার জন্য তাদের জন্য প্রণোদনা থাকতে হবে। এবং তারা যাতে সহজে লোন পান সেই সুবিধা রাখতে হবে।  করোনাভাইরাসের মহামা'রিতে দেশে নতুন দেড় কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছে বলে সাম্প্রতিক বিভিন্ন জ'রিপে উঠে এসেছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে