শনিবার, ১১ জুলাই, ২০২০, ১১:২৪:০৯

বিশ্ব ধরেই নিচ্ছে বাংলাদেশ জা'লিয়াতির দেশ : শাহরিয়ার কবির

বিশ্ব ধরেই নিচ্ছে বাংলাদেশ জা'লিয়াতির দেশ : শাহরিয়ার কবির

নিউজ ডেস্ক : মহামা'রি করোনাভাইরাস শনা'ক্ত ও চিকিৎসা জা'লিয়াতির সঙ্গে যুক্ত রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদের ‘গডফাদারদের’ গ্রে'ফতারের দাবি জানিয়েছেন ঘা'তক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক শাহরিয়ার কবির।

তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক ও ক্ষমতার দু'র্বৃত্তায়নে মধ্যে যে মা'ফিয়া চক্র গড়ে ওঠেছে, তার পেছনে কাদের হাত রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে হবে।’ করোনা শনা'ক্তে জালিয়াতির বিষয়ে শনিবার (১১ জুলাই) জাগো নিউজের কাছে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা প'রিস্থিতি মো'কাবিলায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। অথচ, একটি ঘটনা সমস্ত অর্জন ম্লান করে দিয়েছে। কে এই সাহেদ? কারা তৈরি করল? সাহেদদের তৈরির পেছনে মিডিয়ারও দায় আছে। টকশোতে বড় বড় কথা বলতেন। তাকে সুযোগ দেয়া হতো। একবার টকশোতে গিয়ে তার সঞ্চালনায় রীতিমতো অবাক হই। ধ'মক দিয়ে থামিয়ে দেই।’

রাজনীতির ছত্রছায়াতেই সাহেদদের উ'ত্থান- এমন প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘সাহেদ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। স্বাধীনতার পর মুক্তিযু'দ্ধের চেতনাবিরোধীরাই দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থেকেছে। আর রাজনীতির দু'র্বৃত্তায়ন তাদের সময় থেকেই। প্রশ্ন হচ্ছে- এই দু'র্বৃত্তরা আওয়ামী লীগে ঢু'কে মাফিয়া বনে যাচ্ছে কী করে? এর দায় ক্ষমতাসীনরা এড়াতে পারে না। এমন অপ'রাধের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিরাও জড়িত। মেডিকেল মাফিয়া সাহেদের সঙ্গে যখন চুক্তি হলো- তখন মন্ত্রী, সচিব, ডিজি জানতেন তার লাইসেন্স নেই। অথচ, চুক্তি করার সময় সবার আগে লাইসেন্স শো করতে হয়। এই অপ'রাধ তাদের সবার।’

এমন দুর্নীতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ধরেই নিচ্ছে বাংলাদেশ জালিয়াতির দেশ। এই ঘটনা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চ'রমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। রেমিট্যান্স, প্রবাসীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশ্ব মিডিয়ায় এই দুর্নীতির খবর প্রকাশ পেয়েছে। ইতালি থেকে প্রবাসীদের ফেরত পাঠানো হলো। সবচেয়ে ভ'য়ঙ্ক'র ঘটনা হচ্ছে- করোনা বিস্তারে এই ঘটনা সহায়ক হয়েছে। এই অ'পরাধের কোনো ক্ষমা হতে পারে না। এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’

ঘাত'ক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘সামাজিক অব'ক্ষয় ঘটছে সর্বত্রই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন দিনের শিশুর ম'রদেহ ক'বর থেকে তুলে ফেলে দেয়া হয়েছে। এই সভ্য সমাজে এটি কোনোভাবেই বরদাশত করা যায় না। এটি একটি ফৌজদারি অ'পরাধ। অথচ স্থানীয় প্রশাসন আর আওয়ামী লীগ মিলে এর সমাধান টেনেছে। আমরা দেখেছি, যখনই সংখ্যালঘুদের ওপর নি'র্যাতন হয়, তখনই রাজনৈতিকভাবে মিটমাট করার চেষ্টা চলে। এমন হয় বলেই বারবার এমন পৈ'শাচিক ঘটনা ঘটছে। সমাজ ক্রমশই অধঃপতনে যাচ্ছে, যা এসব থেকে দৃশ্যমান হচ্ছে।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে