মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০, ১০:১২:৫৪

বহির্বিশ্বে যে ভাবমূর্তি সংক'টে পড়েছে তা পুনরু'দ্ধারে সরকারকে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে

বহির্বিশ্বে যে ভাবমূর্তি সংক'টে পড়েছে তা পুনরু'দ্ধারে সরকারকে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে

ড. ইমতিয়াজ আহমেদ: করোনাভাইরাসের ভু'য়া সনদ বা সার্টিফিকেট কেলে'ঙ্কারিতে বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে যে ভাবমূর্তি সংক'টে পড়েছে তা পুনরুদ্ধা'রে সরকারকে এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। অপরা'ধীদের শা'স্তির পাশাপাশি কভিড-১৯ সম্পর্কিত সব ধরনের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। ভবিষ্যতেও যেন করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে দু'র্নীতির সুযোগ না থাকে সেসব ব্যবস্থা এখনই নিতে হবে। পাশাপাশি যেসব দেশ প্রবেশের অনুমতি থাকার পরও বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাল তাদের রাষ্ট্রদূতদের ত'লব করে এর ব্যাখ্যা নেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। 

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সবার আগে অতিদ্রুত সব ধরনের প্র'তারণা ও দু'র্নীতি বন্ধ করতে হবে। সরকার যে কভিড-১৯ মো'কাবিলায় সিরিয়াস তা জানাতে হবে। দল বা গোষ্ঠী দেখে ব্যবস্থা নিলে হবে না। অপ'রাধীরা যে দলেরই লোক হোক না কেন বা যত কাছেরই মানুষ হোক না কেন তাদের বিরু'দ্ধে ক'ঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। 

যদি প্র'তারকদের বিষয়ে ক'ঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাহলেও বহির্বিশ্বকে আশ্বস্ত করা যাবে। দ্বিতীয়ত, ইতালি থেকে যাদের ফেরত পাঠানো হলো তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। তাদের যে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তা পশ্চিমা বিশ্বের কাছে প্রচার করতে হবে। তাহলে তারা বুঝবে ফেরত আসাদের বিষয়েও বাংলাদেশ সরকার কোনো একটা ব্যবস্থা নিয়েছে। 

তৃতীয়ত, সরকার ইতোমধ্যেই সি'দ্ধান্ত নিয়েছে যে বিদেশে যেতে হলে কভিড-১৯-এর নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। দেখতে হবে এখন এই নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে যেন দুর্নীতি বা প্র'তারণার সুযোগ না থাকে। নিয়ম করা হলো কিন্তু দেখা গেল বিদেশে যাওয়ার আগে কভিড-১৯-এর টেস্ট করে নেগেটিভ সনদ পেতে দীর্ঘসূত্রতায় পড়তে হচ্ছে। তেমন হলে দুর্নীতির সুযোগ আবার তৈরি হবে। মানুষও ভো'গান্তিতে পড়বে। তাই এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যেন দ্রুততম সময়ে পরীক্ষা করে সনদ পাওয়া সম্ভব হয়। 

ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ইতালি ও জাপান থেকে ইতোমধ্যে বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। আমি মনে করি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত হবে এ দুই দেশের রাষ্ট্রদূতকে ত'লব করা। তাদের যদি কভিড-১৯ থেকেও থাকে তারও সব পারমিট থাকার পরও কেন বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হলো তার ব্যাখ্যা চাওয়া প্রয়োজন। কারণ তাদের কভিড-১৯ পজিটিভ হলে তো সে দেশগুলোরই উচিত ছিল প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা নেওয়া। কিন্তু ফেরত পাঠানো তো কোনো যুক্তি হতে পারে না। এটা বিশ্ব স¦াস্থ্য সংস্থারও নির্দেশনার বাইরে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে