মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০, ১১:১৬:২৬

এই ঈদেও কোলাকুলি করা যাবে না

এই ঈদেও কোলাকুলি করা যাবে না

নিউজ ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের কারণে গত ঈদুল ফিতরের ন্যায় ঈদুল আজহাতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজের জামাত আদায়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলো ধ'রা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত প্রেক্ষাপটে উন্মু'ক্ত স্থানে বড় পরিসরে ঈদের জামায়াত পরিহার করে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশাবলী অনুসরণপূর্বক শর্তসাপেক্ষে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত খোলা মাঠ/ঈদগাহে আদায় না করে মসজিদে আদায় করা হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব অপরিবর্তিত থাকায় আসন্ন ঈদুল আজহার নামাজ আদায় সং'ক্রা'ন্ত বিষয় দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম ওলামারা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে গত ১২ জুলাই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভার আয়োজন করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জামাত অনুষ্ঠানের বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জারি করা স্বাস্থবিধি অনুসরণপূর্বক নিম্নবর্ণিত শর্তসাপেক্ষে ঈদের নামাজের জামাত মসজিদে আদায়ের জন্য আহ্বান জানানো হলো।

বর্তমানে বিশ্বসহ আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থি'তিতে মুসল্লিদের জীবন ঝুঁ'কি বিবেচনা করে এবছর ঈদুল আজাহার জামাত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে কাছের মসজিদে আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত আদায় করা যাবে।

ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবা'ণুনাশ'ক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। প্রত্যেকে মুসল্লি নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
করোনা ভাইরাস সং'ক্রম'ণরোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে অজুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানি'টাইজার রাখতে হবে।মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।

ঈদের নামাজের জামাতে আগ'ত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অ'নুস'রণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

শিশু ও বৃদ্ধসহ অসুস্থ ব্যক্তি বা অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামাতে অংশ নেবেন না। সর্বসাধারণের সুর'ক্ষার নিমিত্ত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়'ন্ত্রণকারী বাহি'নীর নির্দেশনা অবশ্যই অ'নুসরণ করতে হবে।

করোনা ভাইরাস সং'ক্র'মণ রো'ধকল্পে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।করোনা ভাইরাস মহামা'রি থেকে র'ক্ষা পাওয়ার জন্য ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামরাকে অনুরোধ করা হলো।খতিব, ইমাম, মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চি'ত করার অনুরোধ করা হলো।
পশু কোরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রাণঘা'তি করোনা ভাইরাস সং'ক্র'মণরো'ধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা নিয়'ন্ত্রণকারী বাহি'নী, জনপ্রতিনিধিরা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটি উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে