বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০, ০১:২১:৫৪

যতো কোটি টাকার ভাগ নিয়ে ডা. সাবরিনা-আরিফুল দ্বন্দ্ব

যতো কোটি টাকার ভাগ নিয়ে ডা. সাবরিনা-আরিফুল দ্বন্দ্ব

গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইইডিসিআরের সঙ্গে জেকেজি হেলথ কেয়ার (জোবেদা খাতুন সার্বজনীন চিকিৎসাসেবা) বুথ স্থাপন করে করোনা টেস্ট করার চুক্তি করে। সে অনুযায়ী ২৩ জুন পর্যন্ত ১৫ হাজার ভু'য়া টেস্ট রিপোর্ট দিয়ে জেকেজি প্রায় ৮ কোটি টাকা রোজগার করে। এ টাকার ভাগ নিয়েই ডা. সাবরিনার সঙ্গে তার স্বামী আরিফুলের দ্ব'ন্দ্ব শুরু হয়।

এদিকে ডা. সাবরিনাকে মঙ্গলবার সকালে জিজ্ঞা'সাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এর আগে সোমবার রাতে মামলাটি তেজগাঁও থানা থেকে তদ'ন্তের জন্য ডিবিতে স্থা'না'ন্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এ ব্যাপারে তেজগাঁও থানার ওসি সালাহউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘আমরা মামলার ডকেট ও আসামিকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ মামলায় ৩ দিনের রিমা'ন্ড পাওয়া আসামি ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে ডিবি জিজ্ঞা'সাবাদ করছে। ডিবি অফিসে এক জন সহকারী কমিশনারের রুমে নারী পুলিশের উপস্থিতিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে দুপুরে তাকে ডিবি অফিসের ক্যানটিন থেকে খাবার এনে খেতে দেওয়া হয়।’

অপরদিকে, জেকেজির ভু'য়া করোনা টেস্ট রিপোর্টের ঘ'টনা ক্র'সচেক করতে ডিবি এই মাম'লায় ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরীকে পুনরায় রিমা'ন্ডে নিয়ে মু'খোমু'খি জিজ্ঞা'সাবাদ করবে। এ কারণে গতকাল ডিবি পুলিশ আরিফুলকে জিজ্ঞা'সাবাদের জন্য সাত দিনের রিমা'ন্ডের আবেদন করে। রিমান্ডের এই আবেদন আজ বুধবার ভার্চুয়াল কোর্টে শুনানি হবে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা অফিসে পুলিশি জেরার মু'খে ডা. সাবরিনা বরাবরই বলছেন তিনি জেকেজির চেয়ারম্যান নন। যৌথ মূলধনী কোম্পানি নিবন্ধন পরিদপ্তরে নথিপত্রে তার নাম নেই। জেকেজির কর্মীরা তাকে মুখে মুখে চেয়ারম্যান বলতেন। তিনি আরো বলেন, আট মাস আগে থেকেই তিনি বাবার বাড়িতে ছিলেন। আরিফের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছি'ন্ন করে দিয়েছেন। আরিফের বিরু'দ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। উকিল নোটিশ দিয়েছেন। এসব কারণে আরিফ ষ'ড়য'ন্ত্রমূলকভাবে তাকে ফাঁ'সিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া আরিফ গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে তা'লাকের নোটিশও দিয়েছেন।

তদ'ন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা সনদ জা'লিয়াতির প্রায় ৮ কোটি টাকার ভাগ নিয়ে আরিফ ও সাবরিনার মধ্যে বিরো'ধ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত সাবরিনাকে ৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন আরিফ। কিন্তু ঐ চেকটি প্র'ত্যাখ্যা'ত হয়। সাবরিনা তখন আরিফকে উকিল নোটিশও পাঠান।

পুলিশ কর্মকর্তাদের ভা'ষ্য অ'নুযায়ী জেকেজি ন'মুনা সংগ্রহের দায়িত্ব পায় এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে। এর অল্প কিছুদিন পরই তারা অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তি ভে'ঙে টাকার বিনিময়ে ন'মুনা সংগ্রহ করতে থাকে। ঢাকার পাশাপাশি ১৩ এপ্রিল থেকে নারায়ণগঞ্জে ন'মুনা সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করে।

ডিবির একটি সূ'ত্র জানায়, জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি ডা. সাবরিনা অ'স্বীকার করলেও তার মোবাইল ফোনে পাওয়া গেছে অসংখ্য খু'দে বার্তা (মেসেজ), যেখানে তিনি নিজেকে জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন সময় খুদে বার্তায় লিখেছেন, ‘আমি জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা বলছি। আমার প্রতিনিধি পাঠাচ্ছি। করোনা ন'মুনা সংগ্রহ করতে সব ধরনের সহযোগিতা চাই।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে