নিউজ ডেস্ক : টেলিভিশনের টকশোতেও নিয়মিত আলোচক ছিলেন রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান প্র'তারক শাহেদ করিম। দুর্নীতিতে জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে একটি টেলিভিশনের টকশোতে নিজেই জোর গলায় বলেছিলেন। এখন প্র'তারণার অভি'যোগেই র্যাবের হাতে গ্রে'ফতার হলেন তিনি।
করোনা টেস্টের ভু'য়া রিপোর্ট প্রদান, অর্থ আ'ত্মসাতসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার অভি'যোগে গ্রে'ফতার করা হয়েছে তাকে। টেলিভিশনের ওই টকশোতে দেয়া শাহেদের বক্তব্যের ভি'ডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ ভাই'রাল হয়েছে।
শাহেদ ওই টকশোতে বলছিলেন, ‘এই যে আমি ঢাকায় ত্রিশ বছর ধ'রে আছি। আমি কোনোদিন ক্যাসিনোর কথা শুনি নাই। অথচ দেখেন এই শহরে কত ক্যাসিনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সরকার অপ'রাধীকে ছাড় দেবে না বলে নিজের দলের ভেতর থেকে পরিচ্ছন্ন অভি'যান শুরু করেছে। এই জিকে শামীমের কথাই ধরুন, সে কি ছাড় পেয়েছে?
করোনা টেষ্ট পরীক্ষা প্র'তারণার অভি'যোগে বুধবার (১৫ জুলাই) ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্তের দেবহাটা থানার সাকড় বাজারের পাশে অবস্থিত লবঙ্গপতি এলাকা থেকে নৌকায় পালিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রে'ফতার করে র্যাব। পরে সেখানে থেকে তাৎক্ষণিক হেলিকপ্টারে করে ঢাকা নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে শাহেদকে ঢাকার র্যাব সদর দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত ৬ জুলাই করোনা পরীক্ষার ভু'য়া রিপোর্ট দেয়ার অভি'যোগে র্যাব উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভি'যান চালায়। এরপর রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। ৭ জুলাই করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভি'যোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরু'দ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মা'মলা করে র্যাব।
মা'মলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এজাহারে। এরপর থেকেই পালিয়ে ছিলেন সাহেদ। তাকে গ্রে'ফতারে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভি'যান চালায় র্যাব। অবশেষে সাতক্ষীরা থেকে তাকে গ্রে'ফতার করতে সক্ষম হয় তারা।