বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০, ০৯:১৮:৫০

স্কাইপিতে তারেক রহমানের সাথে সাহেদ কথা বলেছিল : তথ্যমন্ত্রী

স্কাইপিতে তারেক রহমানের সাথে সাহেদ কথা বলেছিল : তথ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : বিএনপি যে ক্রমাগত অবান্তর কথা বলে, সাহেদের গ্রেফতারে তা প্রমাণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব বলেন।

তিনি আরও বলেন, যদি সাহেদের মদদদাতা ধ'রতে হয়, তাহলে হাওয়া ভবন থেকে যারা ম'দদ দিয়েছিল এবং স্কাইপিতে যখন তারেক রহমানের সাথে সে কথা বলেছিল, সে ব্যাপারে বিএনপি কি বলবে? অবশ্যই সাহেদের অপক'র্মের সাথে যদি অন্য কেউ যুক্ত থাকে, তদ'ন্তে যদি সেটি বেরিয়ে আসে, তাদের বিরু'দ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাহেদের দুর্নীতি সরকারই উদ্ঘাটন করেছে এবং সাহেদের প্রতিষ্ঠানের এমডিকে গতকালই গ্রে'ফতার করা হয়েছে। এছাড়া তার প্রতিষ্ঠানের আরো অনেকেই গ্রে'ফতার হয়েছে, তাদের বি'রুদ্ধে মা'মলা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছিল, সহসা সাহেদকে গ্রে'ফতার করতে তারা সক্ষম হবে। শেষ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাহেদকে গ্রে'প্তার করেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এতে প্রমাণিত হয়, বিএনপি ক্রমাগত অবান্তর কথা বলে এবং এ নিয়ে বিএনপি এতোদিন যা বলে এসেছিল, সেগুলো তারই ধারাবাহিকতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতি অনিয়মের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন এ ক্ষেত্রে কে কোন দল বা মতের সেটি কখনই দেখা হয়নি। যদি আওয়ামী লীগের কেউ হয়, এমনকি পদধারী নেতাও যদি হয়, তার বিরু'দ্ধেও কিন্তু অতীতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বিরু'দ্ধে বি'ক্ষোভের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান বলেন, বি'ক্ষোভ যে কারো বিরু'দ্ধেই হতে পারে, যে কেউ তার ক্ষো'ভ প্রকাশ করতে পারে, এটি গণতান্ত্রিক রীতিনীতিরই অংশ।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমি মনে করি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যখন বিভিন্ন হাসপাতালের সাথে চুক্তি করে, তখন প্রথম থেকেই তাদের আরও সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন ছিল। তাহলে সাহেদের রিজেন্ট কিম্বা জেকেজির মতো প্রতিষ্ঠান এক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ পেতো না।

অনলাইন সংবাদ পোর্টাল নিবন্ধনের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। আবেদন করা অনলাইনগুলোর বিষয়ে একটি সংস্থার পক্ষ থেকে ১৬শ’র বেশি এবং আরেকটি সংস্থা থেকে একশ’র মতো তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এ মাসের মধ্যেই আরো তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অনলাইনগুলোকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া শুরু করবো। যে সমস্ত অনলাইনের ব্যাপারে নেতিবাচক প্রতিবেদন এসেছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা সেগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

আর যে সমস্ত অনলাইন গু'জব ছড়ায়, তাদের অনেকগুলোই আবার ক্ষণে ক্ষণে পরিচয় পরিবর্তন করে, দেশে বা বিদেশ থেকে যেসমস্ত অনলাইন পোর্টাল এভাবে পরিচয় পরিবর্তন করে পরিচালনা করছে, সেগুলোর ব্যাপারে প্রযুক্তিগতভাবে আমরা আরো দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কোনো অনলাইনের মাধ্যমে গু'জব ছড়ানো হলে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র: বাসস।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে