বৈশ্বিক মহামা'রি করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এখনো নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে প'রিস্থি'তি কিছুটা উন্নতির আশা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটি। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার কেন্দ্রে ‘জেড’ আকৃতিতে শিক্ষার্থীদের বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ‘জেড’ আকৃতিতে একটি কক্ষে প্রথম বেঞ্চে দুই কোণে দুজন শিক্ষার্থী বসলে দ্বিতীয় বেঞ্চে মাঝ বরাবর বসবে একজন। এর পরের বেঞ্চে আবার দু’কোণে বসবে দুজন। এভাবে একজন শিক্ষার্থী থেকে আরেকজন শিক্ষার্থীর তিন ফুট দূরত্ব নিশ্চিত করা হবে। প্রয়োজনে বেঞ্চগুলো আগের চেয়ে দূরে দূরে বসানো হবে। এভাবে শিক্ষার্থীদের বসালে কতগুলো কেন্দ্রের প্রয়োজন হতে পারে, সে বিষয়ে মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) স্থানীয় শিক্ষকদের নিয়ে এ ব্যাপারে কাজ করছেন।
চলতি বছরের ১ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বসার কথা ছিল প্রায় ১৩ লাখ শিক্ষার্থীর। কিন্তু করোনার কারণে এ পরীক্ষাসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সবশেষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা আয়োজনের এই চিন্তা-ভাবনা চলছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, অনেক দিন ধরে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। এ জন্য আমরা বিকল্প পদ্ধতিতে কিভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায় সেই পরিকল্পনা করছি। তিন ফুট দূরত্ব নির্ধারণ করে শিক্ষার্থীদের বসালে কতগুলো কেন্দ্র বা উপকেন্দ্রের প্রয়োজন হতে পারে সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। এগুলো পাওয়ার পর শিগগিরই এসং'ক্রান্ত প্রস্তাব আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের প্রায় আড়াই হাজার কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসার কথা ছিল। তবে প্রতিটি কেন্দ্রে ‘জেড’ আকৃতিতে শিক্ষার্থীদের বসিয়ে বেঞ্চগুলোর দূরত্ব বাড়ালে সাত-আট হাজার প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হতে পারে।
যেহেতু দেশে এত সংখ্যক কলেজ নেই, তাই কেন্দ্রের সংখ্যা ঠিক রেখে এর অধীনে তিন-চারটি করে উপকেন্দ্র করা হবে। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রের আশপাশের স্কুলকেও উপকেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে।