নিউজ ডেস্ক : জীবিত শিশুর মৃত্যুসনদ দেয়ার ঘ'টনায় ডাক্তারদের গাফিলতি নয়, ব্য'র্থতা থাকতে পারে বলে প্রতিবেদন দিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গঠিত তদন্ত কমিটি। দাফনের সময় শিশুটির নড়ে ওঠার বিষয়টি একটি দৈব ঘটনা। দো'ষীদের বি'রু'দ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে তদ'ন্ত কমিটি সুপারিশ করেছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন। দাফনের সময় সদ্যজাত মরিয়মের জীবিত ফিরে আসার ঘ'টনা চমকে দিয়েছে চিকিৎসকদেরও। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর এ ঘটনা তদ'ন্তে ১৬ অক্টোবর গঠন করা হয় ৪ সদস্যের কমিটি। তাদের তদ'ন্ত নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতাল পরিচালক এ কে এম নাসির উদ্দিন চিকিৎসকদের গাফি'লতি না দেখলেও ব্য'র্থতা ছিল বলে জানান।
এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, এখানে চিকিৎসকদের ব্য'র্থতা ছিল। তা না হলে শিশুটা জীবিত ছিল। এবং আমাদের কাছে ফিরে এসেছে; জীবিত রয়েছে। তবে চিকিৎসকদের আন্তরিকতা ছিল না। শিশুটি এখনও সং'ক'টাপন্ন জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বাবা-মার কোলে শিশুটিকে ফেরাতে চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার ভোরে ঢাকা মেডিকেলে জন্ম নেয় শাহিনুর-ইয়াসিন দম্পতির কন্যা মরিয়ম। নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্ম নেয়া শিশুটিকে মৃত্যুসনদ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর বিআরটিসি বাস চালক বাবা ইয়াসিন রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফনের জন্য কবরে নামাতে গেলে নড়ে ওঠে মরিয়ম। এরপর আবারো ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয় তাকে।