বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০, ০১:৪৬:১৭

আগামী বছরের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী

আগামী বছরের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : আগামী বছরের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে, নির্ধারিত মাসে পরীক্ষাগুলো হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ের কথাও জানান তিনি।

চলতি বছরে মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষার বিষয়ে বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা এখন এমন একটি অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যে, খুব বেশি সিদ্ধান্ত আমরা দিতে পারছি না। এসএসসির জন্য কি হবে, আগামী এইচএসসির জন্য কি হবে, সব বিষয়গুলো নিয়ে আবারো আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে কথা বলবো।

দীপু মনি বলেন, সব শিক্ষার্থীকে আমি বলবো যাদের সামনের বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আছে, তারা অবশ্যই নিজেদের বইগুলো পড়বেন, যতদূর সম্ভব অনলাইনে অ্যাকসেস করবেন। সব ক্লাসগুলো আছে আপনারা আপনাদের পড়াশোনাগুলো চালিয়ে যান। কারণ পরীক্ষা যদি কিছুদিন পরেও হয়, সময় মতো হয়তো করার আমরা চেষ্টা করবো, সময় মতো হলে তো হলোই, না হলে যদি কিছুদিন পরেও হয় তাহলেও কিন্তু পরীক্ষা হবে। সেক্ষেত্রে আপনাদের প্রস্তুতিটি ভালোভাবে নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী বছর করোনা পরিস্থিতি আরো অনেক ভালো অবস্থায় থাকবে ইনশাল্লাহ, তখন এই পরীক্ষাগুলো নেওয়া যাবে। পরীক্ষার্থী দয়া করে আপনাদের পড়াশোনাগুলো চালিয়ে যাবেন।

তিনি বলেন, আশা করি সময় মত সব পরীক্ষা হবে, তবে তা নির্ভর করবে কোভিড পরিস্থিতির ওপর। এই মুহূর্তে অনুমান করা সম্ভব নয় ফেব্রুয়ারির পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে বা মার্চের পরীক্ষা মার্চে হচ্ছে কিনা।

মাধ্যমিকে চলতি বছরের বার্ষিক পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা নয়, কেবল শিক্ষার্থীদের ত্রুটি বুঝতে মূল্যায়ন। এজন্য ৩০ কর্মদিবসে শেষ করা যায় এমন সিলেবাস প্রণয়ন করেছে এনসিটিবি।

তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) প্রণয়ন করা সিলেবাস থেকে চারটি অ্যাসাইনমেন্ট এক মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। এ সিলেবাসটি এনটিসিটির মাধ্যমে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে। শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে তা পৌঁছে দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বা খাতায় লিখে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, এর বাইরে শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের বাসার কাজ দেয়া যাবে না। চার সপ্তাহে শুধু চারটি অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করে শিক্ষকদের কাছে শিক্ষার্থীরা পৌঁছে দেবে।

এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক চৌধুরী এবং শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। যদিও এ মুহূর্তে অনলাইন ও টেলিভিশনে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি), ইবতেদায়ি সমাপনী (ইইসি), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) এবং উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।

টানা ৭ মাস ধরে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে