শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২০, ০৮:০৪:০৪

'নারীর মরেও শান্তি নেই, মর্গে গিয়েও ধর্ষিত হচ্ছে'

'নারীর মরেও শান্তি নেই, মর্গে গিয়েও ধর্ষিত হচ্ছে'

নিউজ ডেস্ক : সারাদেশে নারীর ওপর ক্রমবর্ধমান সহিংসতা- ধর্ষণ, নারী-শিশু নিপীড়ন ও বিচারহীনতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রগতিশীল নারী সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, নারীর মরেও শান্তি নেই। হাসপাতালের মর্গে গিয়েও শান্তি নেই। সেখানেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। সমাজ যে কতোটা বর্বর ও অমানবিক হয়ে উঠেছে, এটা তারই বহিঃপ্রকাশ।  

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে নারী গণসমাবেশে এ কথা বলেন নারী নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)র নারী সেলের আহ্বায়ক লক্ষ্মী চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির মোশরেফা মিশু, সিপিবি'র জলি তালুকদার, আদিবাসী ইউনিয়নের রেবেকা সরেন, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের শম্পা বসু, শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর বহ্নিশিখা জামালী, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সীমা দত্ত, নারী সংহতির তসলিমা আখতার, বিপ্লবী নারী ফোরামের আমেনা আক্তার প্রমুখ। সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ধর্ষণ ও নারী-শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আয়োজিত গণসমাবেশকে সামনে রেখে দুপুরের পর থেকে নেতা-কর্মীরা শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে থাকেন। বেলা ৩টা থেকে সমাবেশস্থলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। খণ্ড খণ্ড মিছিলে সেখানে জড়ো হওয়ার পর পৌনে ৪টায় শাহবাগ থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বাটা সিগনাল মোড়, কাঁটাবন হয়ে শাহবাগে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী চক্রবর্তী বলেন, কেউ ধর্ষক হয়ে জন্ম নেয় না। এই সমাজ ধর্ষক সৃষ্টি করে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও সমাজের পৃষ্টপোষকতার কারণে ধর্ষকরা উৎসাহিত হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত দেশের এই অরাজক অবস্থা কারো কাঙ্খিত নয়। এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই। সারাদেশে গণআন্দোলন গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে