শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২১, ০৯:০৩:০০

এই দামি গাড়িটিই ছিল দিহানের মেয়ে পটানোর প্রধান হাতিয়ার

এই দামি গাড়িটিই ছিল দিহানের মেয়ে পটানোর প্রধান হাতিয়ার

নিউজ ডেস্ক : ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত দিহানের বাবা সদ্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা রেজিস্ট্রার আবদুর রউফ সরকার।তিন সন্তানের মধ্যে দিহান সবার ছোট। পরিবারের একটু বেশি আদর পেতেন দিহান। যে কারণেই দিন দিন তার বখাটেপনা বেড়েছে। আবদার মেটাতে ১৬ বছর বয়সেই দিহানকে তিন লাখ টাকা দিয়ে সুজুকি বাইক কিনে দিয়েছিলেন বাবা।

এরপরই আবদারের পরিধি বাড়তে থাকে। গাড়ি কিনে দেয়ার বায়না করে বসে দিহান। বাধ্য হয়ে ছেলের পছন্দ অনুযায়ী ২০১৯ সালে ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে কিনে দেন টয়োটা এক্সিও। কলাবাগান এলাকার রাস্তার পাশের দোকানিরা জানান, দিহান যখন গাড়ি নিয়ে বের হতেন। তখন গলি কেঁপে উঠত। নিজের ইচ্ছেমতো বাজাতেন একেরপর এক গাড়ির হর্ন।

বাবার অঢেল টাকা। গ্রামের বাড়িতে বিশাল সম্পত্তি। রাজধানী ঢাকায় নিজস্ব ফ্ল্যাট। তার সঙ্গে ছিল দিহানের দামি একটি গাড়ি। এসব দেখিয়ে অল্প বয়সী মেয়েদের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলত দিহান। এসব তার জন্য মামুলি বিষয়। দিহানের এই প্রলোভনে পড়ে অনেক মেয়েরই সর্বনাশ হয়েছে। সবশেষে রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থী ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ফেঁসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।

বিভিন্ন গণমাধ্যম ও দিহানের পরিচিতদের সূত্রে জানা গেছে, আনুশকার আগেও একাধিক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল দিহানের। বাবার অর্থবিত্ত, দামি গাড়ি উপহারসামগ্রী দিয়ে মেয়েদের প্রভাবিত করত দিহান। কলাবাগানে দিহানের বাসার কেয়ারটেকার মোতালেবের দেয়া তথ্য মতে, বাসা ফাঁকা থাকলেই বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে আসতেন দিহান। তার বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
 
তিনি বলেন, বাসা ফাঁকা থাকলে মাঝে মধ্যে দিহান বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে বাসায় আসলেও হত্যা বা ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটতে পারে তা তিনি ধারণাও করতে পারেননি। আনুশকা নূর আমিন যেদিন হত্যার শিকার হয় সেদিন মোতালেবের পরিবর্তে কেয়ারটেকার দুলাল দায়িত্ব পালন করছিলেন। দিহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধেও স্ত্রী হত্যার অভিযোগ এসেছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে