নিউজ ডেস্ক: করোনায় রীতিমতো নাজেহাল অবস্থায় ভারত। এমন পরিস্থিতিতে ভারত বাংলাদেশের আগাম টাকা দেওয়া সত্ত্বেও টিকার চালান সরবরাহ করতে পারছে না। এমন অবস্থায় ভারতকে দ্রুত টিকা পাঠানোর অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি বিকল্প উৎসর খোঁজেও অগ্রসর হয়েছে বাংলাদেশ। শুধু তা-ই নয়, কভিড দীর্ঘ মেয়াদে থাকতে পারে—এমনটি আঁচ করে বাংলাদেশ চীনের উদ্যোগে ছয় দেশের টিকার মজুদ সৃষ্টির পথেও হাঁটছে।
সুসংবাদ, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, চীন ও পাকিস্তান—এই ছয় দেশের পররাষ্ট্রসচিবরা গতকাল বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। আগামী মঙ্গলবার এই দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, চীনের উদ্যোগে বৈঠক হচ্ছে। সেখানে এই ছয় দেশের টিকার মজুদ গড়ার কাঠামো নিয়ে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, মনে হচ্ছে যে কভিড খুব সহজে যাচ্ছে না। তাই দীর্ঘ মেয়াদে টিকা প্রয়োজন হবে। তা ছাড়া আগামী দিনে কভিডের মতো মহামারির ক্ষেত্রে জরুরি প্রয়োজন মেটাতে মজুদ কাঠামো সৃষ্টির বিষয়ে আলোচনা চলছে।
ড. মোমেন বলেন, টিকা নিয়ে এত দুশ্চিন্তার কারণ নেই। পরিকল্পনা অনুযায়ী যথাসময়ে পর্যাপ্ত টিকা থাকবে। তিনি বলেন, ‘ভারতের দুটি চালান আসতে দেরি হয়ে গেছে। ভারত আমাদের বলেছে যে তারা পাঠাবে। কিন্তু তাদের নিজেদেরই চাহিদা এত বেশি যে ঝামেলায় পড়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত যথাসাধ্য চেষ্টা করছে, যাতে আমাদের চালান পাঠাতে পারে। যদি কোনো কারণে ভারতের চালান না আসে সে জন্য আমরা চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবস্থা করে রেখেছি। যারা এ দেশ থেকে চীনে পড়ালেখা, ব্যবসা করতে যান তাঁরা বলছেন, চীনা টিকা না নিলে তারা সেখানে ঢুকতে পারবে না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের যথেষ্ট উৎপাদন ক্ষমতা আছে। বাংলাদেশ যত ডোজ চাইবে চীন তা দিতে পারবে। তারা ছয় লাখ ডোজ উপহার হিসেবে দেবে। বাকিটা কিনতে হবে। এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত হয়েছে। যেকোনো সময় তারা টিকা সরবরাহ করতে পারবে।
রাশিয়ার টিকা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী টিকা দিতে পারবে না। তাদের কাছ থেকে কিছু কিনতে হবে। তারা এ দেশের ওষুধ কম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে উৎপাদনে যেতেও রাজি আছে।