বুধবার, ২১ জুলাই, ২০২১, ০৮:৩৭:২৯

ইসরায়েলের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আল-আকসা মসজিদে ঈদের নামাজে হাজার হাজার মুসল্লি

ইসরায়েলের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আল-আকসা মসজিদে ঈদের নামাজে হাজার হাজার মুসল্লি

ইসরায়েলের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অন্তত ২০ হাজার ফিলিস্তিনি আল-আকসা মসজিদ চত্বরে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। গাজা-ভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো মুসলমানদের প্রথম ক্বিবলা এই মসজিদে আবার আগ্রাসন চালানোর ব্যাপারে তেল আবিবকে সতর্ক করে দিয়েছে।

জেরুসালেম আল-কুদস শহরের পুরনো অংশে অবস্থিত মসজিদুল আকসায় মঙ্গলবার ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।এর আগের দিন সোমবার বহু ইসরাইলি নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙে এই মসজিদ চত্বরে অনুপ্রবেশ করেছিল।

তার আগের দিন ইসরাইলি পুলিশ এই মসজিদ চত্বরে হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের বেধড়ক মারপিট করে।

ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে আল-আকসা মসজিদ চত্বরে এসব আগ্রাসনের জের ধরে নতুন করে সংঘাত শুরু হলে তার দায় ইহুদিবাদী ইসরাইলকে নিতে হবে বলে ঘোষণা করেছে। ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি নৃশংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান, মিশর, তুরস্ক, জর্দান ও পাকিস্তানসহ আরো কিছু মুসলিম দেশ।

এদিকে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গাজা-ভিত্তিক প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো আল-আকসা মসজিদ পরিস্থিতির ওপর গভীর নজর রেখেছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি বলেন, গত মে মাসের আল-কুদস শোর্ড অভিযানের মতো প্রয়োজনে আবারো ইসরাইলকে দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো।

গত মে মাসে ঈদুল ফিতরের কয়েকদিন আগে ইসরাইলি সেনারা আল-আকসা মসজিদে আগ্রাসন চালালে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইল অভিমুখে রকেটবৃষ্টি শুরু করে হামাসসহ অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠন। ১১ দিনের ওই সংঘর্ষ আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শেষ হলেও মুসলমানদের প্রথম ক্বিবলা আল-আকসা মসজিদে আবার আগ্রাসন চালানোর ব্যাপারে তেল আবিবকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো। সূত্র : পার্স টুডে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে