শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২, ০৭:৫৪:০২

১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার ইলিশ ধরা পড়ল এক ট্রলারেই!

১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার ইলিশ ধরা পড়ল এক ট্রলারেই!

এমটি নিউজ২৪ ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে বিদ্যমান লঘুচাপ ও দক্ষিণাঞ্চলের ওপর সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর কারণে তীরে ফিরতে পারেনি 'বিসমিল্লাহ ফিশিং বোট'। আরও পড়ুন: ড্রাগন ফল খেলে কী হয় জানেন? রীতিমতো অবাক হবেন!

বিপদ সংকেতে সমুদ্রে বৈরী আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করে ৭ দিন পর ঘাটে ফিরতে সক্ষম হয় বোটটি। সেই বোটেই মিলল ৬০ মণ ইলিশ, যা নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের মেঘনা ফিশিংয়ে এসব ইলিশ বিক্রি করা হয়।

বিসমিল্লাহ ফিশিং বোটের মালিক ও বোটটির প্রধান মাঝি গোলাম কিবরিয়া  বলেন, আমরা সমুদ্র সংকেতের মধ্যে পড়ে যাওয়ায় তীরে আসতে পারি নাই। 

অনেক টাকা দেনা করে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছি, কিন্তু কূলে ফিরলে ঋণী হয়ে যাব। তাই যুদ্ধ করে সাগরে রয়ে গেছি। আলহামদুলিল্লাহ অনেক মাছ পেয়েছি।

গোলাম কিবরিয়া আরও বলেন, আমরা ২৩ জন মাঝি ৭ দিন সমুদ্রে মাছ ধরেছি। এত মাছ হবে কল্পনাও করি নাই। আমাদের জীবন সংগ্রামী জীবন। এই নদীই আমাদের জীবন। যা মাছ পেয়েছি সব মেঘনা ফিশং এ বিক্রি করেছি। ভালো দাম পাওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।

মেঘনা ফিশিংয়ের ম্যানেজার মো. হাবিব ভূঁইয়া বলেন, নৌকাটির মালিক গোলাম কিবরিয়া মাঝি হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের চরচেঙা গ্রামের বাসিন্দা। আজ সকালে বোটটি চেয়ারম্যান ঘাটে এসেছে। 

বিভিন্ন সাইজের মাছ ছিল। তবে বড় সাইজের ইলিশ মাছ বেশি ছিল। নিলামে দাম তুলতে তুলতে শেষ পর্যন্ত ২২ হাজার ৫০০ টাকা করে ৬০ মণ ইলিশের দাম হয়েছে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

হাতিয়া মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল বলেন, আমাদের জেলেরা মেঘনা নদীতে মাছ ধরে  জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু এবার বেঘনা নদীতে মাছ নেই। গভীর সমুদ্রে মাছ পাওয়া যাচ্ছে। 

আমরা দোয়া করছি যেনো নদীতে মাছ পাওয়া যায়, তাহলে জেলেরা যেমন লাভবান হবেন তেমনি ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে