‘অপমানের পরও তারা যে সহানুভূতি পেয়েছে, সেটা শুধু আমার কারণে’

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ আগস্ট আমার বাবা-মাকে হ'ত্যা, গ্রে'নেড হা'মলা, বো'মা হা'মলা করে আমাকে হ'ত্যার চেষ্টা, এরপরও তাদের সাথে বৈঠকে বসেছি শুধু দেশের স্বার্থে। কিন্তু তারা একের পর এক অপমান করে গেল। কিন্তু এত অপমানের পরও তাদের সঙ্গে কীসের বৈঠক?

সদ্য সমাপ্ত কাতার সফর নিয়ে সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচনে সংলাপ করেছি, রেজাল্টটা কি, নির্বাচনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ ছাড়া কিছুই করেনি। ৩০০ আসনে ৭০০ নমিনেশন দিয়ে টাকা খেয়েছে। এরপর নিজেরা নিজেরা নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে নির্বাচনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৫ আগস্ট আমার বাবা-মায়ের হ'ত্যাকারী, গ্রে'নেড হা'মলা, বো'মা হা'মলা করে আমাকে হ'ত্যার চেষ্টা- তাদের সাথে বসেছি শুধু দেশের স্বার্থে। শুধু তাই না খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মারা গেল, আমি গেলাম দেখতে বা একজন সন্তানহারা মাকে সহানুভূতি জানাতে, আমাকে কীভাবে অপমানটা করলো, আমার গাড়ি ওই বাড়ির মধ্যে ঢুকতে দিল না, বড় গেইট বন্ধ। 

টেলিফোন নিয়ে সময় নেয়া হয়েছিল, আমি এইসময় আসব, তারা কি করল গেইট বন্ধ করে দিল, পরে ছোট গেইটে গেলাম, আমার গাড়ি যাওয়ার পর সেটাও বন্ধ করে দিল। এতো অপমানের পর তাদের সঙ্গে কীসের বৈঠক, প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার পরিষ্কার কথা, যারা এইটুকু ভদ্রতা জানে না তাদের সাথে বৈঠকের কি আছে। কেউ পারবেন বাবা-মায়ের হ'ত্যাকারীদের সাথে এইভাবে বসে বৈঠক করতে। যেটুকু সহ্য করেছি, দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে, নিজের স্বার্থে না। ’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ভাই এসে বোন এসে আমার কাছে আকুতি করল, আমি তার সাজাটা স্থগিত করে তার বাসায় থাকা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এটুকু যে করেছি সেটাই যথেষ্ট। এতো অপমানের পর তারা যে সহানুভূতি পেয়েছে, সেটা শুধু আমার কারণে।’

রোহিঙ্গারা বোঝা, কিন্তু ১৯৭১ সালে এক কোটি বাংলাদেশিও ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য বোঝা। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ থেকে এক কোটি শরণার্থী বিদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। সেই কথাগুলো মনে করেই মানবিক কারণে আমরা তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছি। মানুষের বিপদে তার পাশে থাকতে হবে এটা আমি বিশ্বাস করি।’