এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের প্রায় ৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে শতশত হেক্টর জমির আমন ও বাদামসহ বিভিন্ন ফসল। চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে চরাঞ্চলে দেখা যায়, ঘরবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা। এসব এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থা। এ অবস্থায় নিজেদের পাশাপাশি গবাদিপশুর খাদ্যসংকট নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা।
বন্যার পানি দীর্ঘায়িত হলে চরের পাকা ধান ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে জানায় বন্যাকবলিত এলাকার কৃষকরা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চর খিতাবখাঁ গ্রামের আব্দুল বারেক জানান, গত তিনদিন ধরে তিস্তার পানি বাড়ছে। গতরাতে বাড়িতে পানি ওঠেছে; রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। মানুষ চলাফেরা করতে পারছেন না; খাওয়ারও কষ্ট হচ্ছে।
রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালিরমেলা এলাকার কৃষক শামসুল বলেন, ‘বন্যায় আমার দুই একর জমির আমন ও বাদাম ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পানি দ্রুত নেমে না গেলে সব নষ্ট হয়ে যাবে।’
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শনিবারের (২৮ সেপ্টেম্বর) তথ্যানুয়ায়ী জেলায় ১৫৯ হেক্টর জমির আমনসহ অন্যান্য ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। গতরাত থেকে পানি আরো বাড়ছে। রোববারের তথ্যে নিমজ্জিত জমির পরিমাণ আরো বাড়বে বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও জেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে। উজানে বৃষ্টিপাত কমে আসায় নদ-নদীর পানি আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।