এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউজের নিরাপত্তা ও যোগাযোগ উপদেষ্টা জন কিরবি।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউজে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতীয় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউজের নিরাপত্তা ও যোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা জন কিরবি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ঘটনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তার দেশ। প্রেসিডেন্টও ঘটনাগুলো ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করছেন।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে এবং আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি, যেন তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নিরাপত্তা পরিষেবাগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো যায়।’
কিরবি আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বাংলাদেশি সব নেতার সঙ্গে আমাদের আলোচনায় জানিয়েছি যে, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। অন্তর্বর্তী সরকারের নেতারা বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, ধর্ম বা জাতিনির্বিশেষে সব বাংলাদেশির নিরাপত্তা তারা নিশ্চিত করবেন।’
এদিকে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাসী হামলা না ঘটলেও এ ধরনের অভিযোগে বিরোধী দলের নেতাদের দমনপীড়ন, আটক এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনেও অভিযোগ তোলা।
পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কে এনএফের সন্ত্রাসী হামলার তথ্য উঠে এসেছে মার্কিন ওই প্রতিবেদনে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইনের মাধ্যম নাগরিকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ এবং গ্রেফতারের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতার পাশাপাশি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা উন্নয়নেও সহায়তা দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।