এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। অন্যকে দিয়ে খাতা দেখানো বা খাতা দেখায় গাফেলতি পেলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষককে দুই বছরের জেল বা অর্থদণ্ড করা হতে পারে।
এমন নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। গতকাল শনিবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার উত্তরপত্র হলো একটি গোপনীয় দলিল এবং এটি প্রধান পরীক্ষক বা পরীক্ষকদের কাছে পবিত্র আমানত হিসেবে বিবেচিত। কোনোভাবেই প্রধান পরীক্ষক বা পরীক্ষক ব্যতীত অন্য কেউ—যেমন শিক্ষার্থী, শিক্ষক বা পরীক্ষকের পরিবারের সদস্য—উত্তরপত্রে বৃত্ত ভরাট বা মূল্যায়ন করতে পারবে না। এমনটা করলে সেটি হবে পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত ১৯৮০ সালের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এতে হুঁশিয়ারি করে বলা হয়েছে, এ অপরাধ প্রমাণিত হলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য প্রধান পরীক্ষক এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি পরামর্শ দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।
বিষয়টি ‘অতীব জরুরি’ বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। নির্দেশনাটি পাঠানো হয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।