এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) শিবিরের প্রদর্শনী থেকে নিজামী-সাকার ছবি নামিয়ে ফেলার পরে স্থান পেয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার ছবি।
বুধবার দুপুরে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পূর্বে যে ফ্রেমগুলোতে মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লার ছবি ছিল, সেই স্থানেই এবার বসানো হয়েছে ব্যাখ্যাসহ বিভিন্ন উদ্ধৃতি ও সাক্ষ্যভিত্তিক দাবি।
এতে তুলে ধরা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এক বক্তব্য, আন্তর্জাতিক আইনজ্ঞ জিওফ্রে রবার্টসনের মন্তব্য এবং কয়েকজন ‘ভুয়া সাক্ষী’ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার জবানবন্দি।
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, প্রদর্শনীতে আমরা সাকা চৌধুরীর ছবি আনার জন্য তার ছেলে আমাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ছাত্রদলের ছোট একটা অংশ তাদের উপর ভর করার চেষ্টা করছে। সেই বামপন্থি অংশ যারা আওয়ামী লীগের উপর ভর করে সেটাকে শেষ করেছে। আশা করি ছাত্রদল এই বিষয়ে সতর্ক থাকবে।
তিনি এক সাংবাদিক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার ছবি জেদের বসে ব্যবহার করেনি। আমরা তার বক্তব্য হাজির করেছি। যা সত্য তা তুলে ধরেছি।
২০১১ সালের ২০ অক্টোবর তারিখ উল্লেখ করে বেগম খালেদা জিয়ার একটি উদ্ধৃতি সেখানে প্রদর্শিত হয়েছে। যেখানে লিখা আছে- ‘নিজামী, মুজাহিদ, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, কামরুজ্জামান, কাদের মোল্লা। এদের সবাইকে তারা মিথ্যে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে রেখে দিয়েছে। তারা ভেবেছে তারা স্বাধীনতাবিরোধী বলে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে।
আমি বলতে চাই আজকে তারা যেই অবস্থা করেছে গোপন চুক্তি করে স্বাধীনতার পরেও যে গোপন চুক্তি করেছে, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হলো এই আওয়ামী লীগ হলো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি । দেশের বিরোধী শক্তি হলো এই আওয়ামী লীগ। তাই আগে তাদেরকে, তাদেরকে আগে ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই এই দেশ নিরাপদ হবে, স্বাধীন হবে।’
অস্ট্রেলিয়ান–ব্রিটিশ ব্যারিস্টার জিওফ্রে রবার্টসনের উক্তিতে লিখা আছে-
‘আবদুল কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় 'জনগণের ক্ষোভ মেটাতে'। এটা ন্যায়বিচার নয়, এটা ছিল এক প্রকার সব জাস্টিস।’
এদিকে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী নামের একজনের ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, রিয়্যাকশনের বদলে শিবির একটা স্মার্ট মুভ করলো।