এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদে (ডাকসু) ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় ডাকসুর ২য় সাধারণ সভায় সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হাসিনাকে আজীবন সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়টি ছিল অবৈধ এবং ডাকসুর গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে করা। ২০১৯ সালে একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে তাকে অগণতান্ত্রিকভাবে আজীবন সদস্য করা হয়েছিল। আজকের সভায় সেই রেজুলেশনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ডাকসুর ২য় সাধারণ সভাটি সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ডাকসু কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, পিএইচডি সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ডাকসুর পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর মধ্যে রয়েছে- ডাকসু নির্বাচনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব সিন্ডিকেটে আলোচনার জন্য পাঠানো এবং পূর্ববর্তী অবৈধ সিদ্ধান্তগুলোর পর্যালোচনার উদ্যোগ নেওয়া।
এ প্রসঙ্গে ডাকসুর জিএস ফরহাদ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাবনাটি ছিল সম্পূর্ণ অবৈধ। ডাকসুর গঠনতন্ত্রে এমন কোনো ধারা নেই যা কাউকে আজীবন সদস্য করার অনুমতি দেয়। তাই এই সিদ্ধান্তটি বাতিল করা গণতান্ত্রিক নীতির পক্ষে একটি সঠিক পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডাকসু কমিটি শেখ হাসিনাকে “আজীবন সদস্য” করে একটি রেজুলেশন পাশ করেছিল, যা তৎকালীন সময়েই সমালোচনার মুখে পড়ে। সমালোচকরা তখনো বলেছিলেন, এটি ছিল ডাকসুর গঠনতন্ত্রবহির্ভূত এবং রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতমূলক একটি সিদ্ধান্ত।
ডাকসুর বর্তমান কমিটি মনে করছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তারা ডাকসুকে তার গণতান্ত্রিক ও নীতিনিষ্ঠ অবস্থানে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।