এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিপ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা চায় নাই, তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছেন।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে নোয়াখালীর সেনবাগ ডুমুরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন বলেন, সেদিন আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আসম আব্দুর রবসহ শেখ মুজিবকে যখন বলেছি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করতে, তিনি তখন বলেন ‘আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী মামলা হবে, আমি পাকিস্তান ভাগ করতে পারবো না।’ আর তখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন আমাদের প্রিয় নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
তিনি আরও বলেন, ‘চক্রান্ত চলছে। কেউ বলে ভোট করবে, কেউ বলে করবে না। আবার এখন শোনা যাচ্ছে, উপ–প্রধানমন্ত্রী না দিলে নির্বাচনে যাবে না। এত দিন বলা হতো, পিআর না দিলে নির্বাচন করবে না, গণভোট না হলে করবে না।’
মহিলা দলের উদ্দেশে ফারুক বলেন, ‘এই লড়াইয়ে জিততেই হবে। আমরা জিতলে ইনশা আল্লাহ, তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে দেশে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।’
পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের পরিচয় তুলে ধরে জয়নুল আবদিন ফারুক আরও বলেন, ‘আমি পাঁচবার এমপি ছিলাম। কোনো দিন দুর্নীতির আশ্রয় নিইনি। সামনে আমার শেষ নির্বাচন। আমাকে অপছন্দ করলে ভোট দেবেন না, কিন্তু ভোট দেবেন ধানের শীষে। আমাকে অপছন্দ করতে পারেন, কিন্তু ধানের শীষকে নয়।’
দলের মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে কেউ মনোনয়ন পাননি, এ কথা সত্য নয়। আপনারা প্রত্যাশী ছিলেন। এখন আর মিছিল-মিটিং নয়; আসুন, তারেক রহমানের কড়া নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করি।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সেনবাগ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন পাটোয়ারী, নোযাখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুল্লা আল মামুন, উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী সুফিয়া আক্তার, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হান্নান লিটন, সদস্য সচিব সহিদ উল্যাহ প্রমুখ।