এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়। একদিনের ব্যবধানে ১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে গেছে। এতে বাড়ছে শীতের প্রকোপ।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। এর তিন ঘণ্টা আগে, সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, উত্তরের হিমেল বাতাসের সঙ্গে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকে পুরো এলাকা। সকালের দিকে সূর্যে দেখা মিললেও বিকেল ৪টা বাজতে না বাজতেই ফের হারিয়ে যায়। পঞ্চগড়ের আশপাশের জেলায় কয়েকদিন থেকে হিমালয়ের হিমেল বাতাসে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। সকাল সকাল রোদের ঝলমলে রোদের দেখা মিললেও তেমন উত্তাপ নেই। রাতে ও সকালে ঠান্ডার কারণে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ শীতের গরম কাপড় পরিধান করছে। তবে গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষগুলো।
এ ছাড়া দিনের বেলা রোদের দেখা মিললেও কমেনি শীতের তীব্রতা। সারাদিন ঠান্ডা আবহাওয়া আর শেষ বিকালে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায়।
এ ছাড়া শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৭ ডিগ্রির ঘরে নেমে গেছে। উত্তর হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের মধ্যে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর তিন ঘণ্টা আগে সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ফলে এ জেলায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৭৯ শতাংশ। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।