এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতীক। আমরা আল্লাহর দরবারে তার দ্রুত আরোগ্যের কামনা করছি। আশা করি, নিশ্চয় আল্লাহ কোটি কোটি মানুষের দোয়ায় বেগম খালেদা জিয়াকে দ্রুত সুস্থ করে দেবেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটের শকুয়াই ইউনিয়নে বেগম জিয়ার দীর্ঘায়ু ও দ্রুত আরোগ্য কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহফিলে আলেম-ওলামা, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন, মাদ্রাসার শিক্ষক ও বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়াকে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা মৃত্যুর দিকে ধাবিত করেছিল, আল্লাহর দরবারে তাদের বিচারের দাবি জানিয়ে রাখলাম।
তিনি বলেন, হালুয়াঘাটকে আলোকিত করতে আলেম-ওলামাদের ভূমিকা অপরিসীম।
সমাজকে সৎপথে ফিরিয়ে আনতে, তরুণদের নৈতিক শিক্ষা দিতে এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে আপনাদের অবদান অপরিহার্য। বিএনপি ক্ষমতায় এলে মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়ন, ইমাম-মুয়াজ্জিনদের মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আলাদা কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। বিএনপি ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের বেতনের একটি অংশ সরকারি কোষাগার থেকে দেওয়া হবে এবং তাদের বেতন নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। বিএনপি ইসলামী মূল্যবোধকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস সংবিধানে চার মূল নীতিতে পুনঃস্থাপন করবে।
যেটা শহীদ জিয়া করেছিলেন, পরবর্তীতে শেখ হাসিনা বাতিল করেছিল। আওয়ামী স্বৈরশাসন দেশকে অন্ধকারে ডুবিয়েছে। মানুষের বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার, ন্যায়বিচার ছিল না। এই অমানবিক শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করতেই বিএনপি এবং তারেক রহমান রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দিয়েছে। বিএনপি আগামী দিনে তা বাস্তবায়ন করবে।
প্রিন্স আরো বলেন, আমি নিজে অন্যায় করব না, কারো অন্যায়কে প্রশ্রয়ও দেব না। সে আমার যত কাছের লোক হোক না কেন। আমার নাম ভাঙিয়ে বা দলের নাম ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করতে আসলে তাকে ধরে আমাকে খবর দেবেন। আমি ব্যবস্থা নেব।
এ সময় তিনি উপস্থিত আলেম-ওলামা, ইমাম-মুয়াজ্জিনদের আতর উপহার দেন। এ দিন সকালে তিনি উপজেলার ভুবনকুড়া ইউনিয়নের মহিষলেটি গ্রামে রাস্তা সংস্কার কাজ ও রাতে হালুয়াঘাট বাজার মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের কীর্ত্তন উদ্বোধন করেন। রাতে তিনি তিনটি ইসলামী জলসায় যোগ দেন।