স্পোর্টস ডেস্ক: বর্তমান ফুটবল ইতিহাসে ক্ষুদে যাদুকর খ্যাত লিউনেল মেসি ও গতিমানব ফুটবল তারকা ক্রিস্ট্রিয়ানো রোনালদোও লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে গেছেন। তাই বলায় যায় আধুনিক গতিময় ফুটবল লাল কার্ড ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। মেজাজ হারানোর কারণ ছাড়াও খারাপ ট্যাকল, কৌশলের ভুলের জন্য হরহামেশাই ফুটবলারদের লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে দেখা যায়। ২০ বছর বা তার চেয়ে বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে একবারও লাল কার্ড দেখেননি এমন ফুটবলারের সংখ্যা মাত্র ৫জন। তারা হলেন-
রাউল গঞ্জালেসঃ ফুটবলীয় রীতি মানার ক্ষেত্রে স্পেনের রাউল গঞ্জালেসের সঙ্গে খুব কম স্ট্রাইকারেরই তুলনা করা যায়। ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময়ই খেলেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। বড় ক্লাবে খেলতে নানা সময়ে প্রচন্ড চাপে থাকেন খেলোয়াড়রা। যার মধ্যে আছে ‘এল ক্লাসিকো’র মতো উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচ। সেই চাপের মধ্যে ৫৫০ ম্যাচ খেলেও কখনো লাল কার্ড দেখেননি তিনি।
রায়ন গিগসঃ তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সর্বকালের সেরাদের একজন। অবসরের পর ম্যানইউ’র সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করছেন গিগস। আক্রমণাত্মক এই মিডফিল্ডার সবসময় বলের পেছনে যেভাবে ছুটেছেন; সেক্ষেত্রে কড়া ট্যাকলের ঝুঁকি থাকতো সব সময়। কিন্তু ২৪ বছরের ক্যারিয়ারের তার বিরুদ্ধে একবারও লাল কার্ড বের করতে হয়নি কোনো রেফারির। প্রিমিয়ার লিগে ৬৭২টি ম্যাচ খেলে লাল দাগ মুক্তই থেকে গেছেন ইংলিশ তারকা।
ফিলিপ লামঃ জার্মানির সর্বশেষ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ফিলিপ লাম। বর্তমানে বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখেরও অধিনায়ক তিনি। বিশ্বের পরিশ্রমী ফুলব্যাকদের মধ্যে একজন। প্রচুর গতিতে খেললেও নিজের পজিসন আর আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে দারুণ সচেতন। যার কারণে ১১ বছরের ক্যারিয়ারে একবারও লাল কার্ড দেখতে হয়নি তার।
গ্যারি লিনেকারঃ অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন সাবেক ইংলিশ তারকা গ্যারি লিনেকার। শুধু লালই নয়, কখনো হলুদ কার্ডও দেখেননি তিনি। ওয়েন রুনির আগে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা লিনেকার খেলেছেন এভারটন, লিচেস্টার, টটেনহ্যাম ও বার্সেলোনায়। ৪৬৬ ম্যাচ খেলা এই দুরন্ত স্ট্রাইকার এখন কয়েকটি ব্রডকাস্টিং মিডিয়ার সঙ্গে কাজ করছেন।
ডেমিয়েন ডাফঃ ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে কখনো লাল কার্ড দেখেননি আয়ারল্যান্ডের ডেমিয়েন ডাফও। প্রিয় নিউজ
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর