বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫, ১২:১৪:৫১

আর কত, একেবারেই ক্লান্ত সাকিব !

আর কত, একেবারেই ক্লান্ত সাকিব !

আরিফুর রাজু : বছরের শুরু থেকেই সিরিজ খেলে আসছে বাংলাদেশ। এর পর বিশ্বসেরাদের আসর বিশ্বকাপের মাশরাফি নেতৃত্বাধীন টাইগারদের বেলকি দেখে অবাকই হয়েছিল বিশ্ববাসী। তখন সবার মনে একটাই ভাবনার সৃষ্টি হয়েছিল হায় একি করছে বাংলাদেশি পুচকে ছিলে গুলো। মূলত তখনই ক্রিকেট বোদ্ধারা বুঝতে শুরু করেছিল পুচকে টাইগারদের ঝাল কেমন। বিশ্বকাপের পরবর্তিতে বাংলাদেশে আসলো ক্রিকেট পরাশক্তি পাকিস্তান-ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে টাইগারদের বছরের ক্রিকেট সূচির ইতি ঘটে। এর মাঝে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দেশের লিগ তো আছেই। আর কত? একজন নিয়মিত খেলোয়াড়ের ক্লান্ত হওয়ার জন্য বছরের এত গুলো ম্যাচ কি যথেষ্ট নয়? আলোচনায় আনি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। বছরের সেই শুরু থেকে দলের হয়ে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন তিনি। তার গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটিং-বোলিং সুবাধে একের পর এক সাফল্য পাচ্ছে বাংলাদেশ। মূলত সাকিবের দক্ষতায় বিশ্বকাপ ও ক্রিকেট পরাশক্তিদের হোম সিরিজে ঘায়েল করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।এক্ষেত্রে কম বেশি সবারই অবদান ছিল। তবে বছরের শেষ সিরিজটি পুরোপুরি খেলতে পারেননি সাকিব। সিরিজের একটি ম্যাচ খেলেই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান তিনি । পরে বিসিবির বরাতে জানা যায় সেখানে স্ত্রী শিশিরের ইমার্জেন্সি চলছিল। তাই পরিবারের বিপদের মুর্হূতে সেখানে যান সাকিব। তবে আল্লাহ রহমতে পৃথিবীর বুকে আসে তার প্রথম রাজকন্যা। মোট কথা অনেক ধকলই পোহাতে হয়েছে সাকিবকে। দেশে ফিরেও সেই ধকল। বিমানবন্দর থেকে সোজা চলতে আসতে হয়েছে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। রংপুরের ঝান্ডা নিয়ে নামতে হয়েছে মাঠে। আর এই টানা ব্যস্ততার কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। মুচকি হেসে অনায়াসে স্বীকার করে নিলেন তা। বুধবার ঢাকা ডাইনামাইটসের বিপক্ষে ৬৯ রানের জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজেই ক্লান্তির কথা জানালেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে জানালেন কিছুতেই শক্তি পাচ্ছেন না তিনি। গত দুই ম্যাচে রান না পেলেও এই ম্যাচে ১৫ বলে অপরাজিত ২৪ রান করেছেন। আর এই ১৫ বল খেলতেই নাকি সব শক্তি নিঃশেষ হয়ে গেছে সাকিবের। ‘শরীরে কোনো শক্তি নাই এখনও। ১৫টা বল খেলেছি, ৩-৪টা ছয় মারার বল ছিল। মারতে পারিনি। আসলে আসার পর এখনও বিমানক্লান্তি কাটেনি, অসুস্থতা আছে, ঠান্ডা আছে, সবকিছু মিলিয়ে শক্তি না থাকলে কিছু করা সম্ভব নয়।’ এর আগে ম্যাচে সাংবাদিকদের কাছে বাবা হওয়ার অনুভূতিটাও প্রকাশ করেন সাকিব। বাবা হওয়ার আনন্দে তিনি যে কতটা আত্মহারা তা বুঝা গিয়েছিল সাকিবের মুচকি হাসিতে। তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট সূচিতে বেশ বড়সড় একটা গ্যাপ পড়েছে। আশা করা যায় এই গ্যাপে সাকিব-তামিমরা নিজেদেরকে অনেক বেশি প্রাণবন্ত করে তুলতে পারবেন। লেখকঃ সাংবাদিক ২৫ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে