রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৫, ০৫:৩৩:১৯

ফিক্সিং বন্ধে নতুন উদ্যোগ

ফিক্সিং বন্ধে নতুন উদ্যোগ

স্পোর্টস ডেস্ক : প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্রিকেট–জুয়া বন্ধ করার যে পরিকল্পনা করার কথা ছিল, তা ভারতীয় বোর্ড সভাপতির চেয়ারে বসার পর করতে পারেননি গত দু’মাস। শনিবার শোনা গেল, ভারতের মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই কাজটাও অনেকটাই গুছিয়ে ফেলেছেন। মহারাষ্ট্র পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে ভারতীয় বোর্ড দুর্নীতি দমন কমিটি গঠন করতে চলেছে। এই মর্মে শুরুতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিত আবেদন করেছিল ভারতীয় বোর্ড। পরে সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর নিজে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করে, গোটা ব্যাপারটা নিয়ে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়, তার রূপরেখা তৈরি করে আসেন। এক, দুই বা তিন মাসের ব্যাপার নয়, সারা বছর ধরেই অনুসন্ধান চালিয়ে যাবে এই কমিটি। লাগবে প্রচুর টাকা। ভারতীয় বোর্ড জানিয়েছে, খরচের বড়সড় অংশ তারাও বহন করবে। এখানে প্রশ্ন হল, ভারতীয় বোর্ড কেন গাঁটছড়া বাঁধতে গেল মহারাষ্ট্র পুলিশের সঙ্গে? কেন দিল্লি পুলিশ নয়? ভারতীয় বোর্ডের সদর দপ্তর মুম্বাইয়ে, তাই যৌথভাবে মুম্বাই পুলিশের সঙ্গে কাজ করতে সুবিধা হবে। কিন্তু এটাই মূল কারণ নয়। আসল কারণ হল, সাবেক বোর্ড সভাপতি শ্রীনিবাসনের জামাই মিয়াপ্পনকে জেলে পোরার পেছনে কিন্তু ছিল মুম্বাই পুলিশই। ক্রিকেট–জুয়ার বড় চাঁইকে যারা ধরতে পারেন, তাদের আরও উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই মহারাষ্ট্র পুলিশের দিকে ঝুঁকে পড়ল ভারতীয় বোর্ড। ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ পথে না যাওয়ার জন্য ক্রিকেটারদের বোঝানোর পালা যেমন চলছে, তা অব্যাহত থাকবে। নিয়মিত তথ্যের বিনিময়ের পালা চলবে মহারাষ্ট্র পুলিশের সঙ্গে। এর ফলে হঠাৎ দুষ্টচক্র আবিষ্কারের ঘটনা এড়ানো যেতে পারে। বছরের মধ্যে ৩৬৫ দিন যদি তদন্তের কাজ চালিয়ে যাওয়া যায়, তাহলে ক্রিকেট–জুয়ার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা কমতে বাধ্য। এই উপলব্ধি থেকেই শশাঙ্কের বোর্ড পরের আইপিএলের আগেই ঘর গুছিয়ে ফেলতে চাইছে। ২৯ নভেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে