বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১০:২৬:৩০

যে কোনো কঠিন প্রতিপক্ষকেও হেসেখেলে হারাতে পারে মাশরাফিরা

যে কোনো কঠিন প্রতিপক্ষকেও হেসেখেলে হারাতে পারে মাশরাফিরা

স্পোর্টস ডেস্ক: ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দল শেষ ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল ২০১৬তে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এরপর শেষ ওয়ানডে সিরিজ জয় আসে এ বছর ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। তাই আজ চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই বছর পর নিজ মাটিতে সিরিজ জয়ের হাতছানি নিয়ে মাঠে নামবে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। 

যে কোনো কঠিন প্রতিপক্ষকেও হেসেখেলে হারাতে পারে মাশরাফিরা। মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে প্রথম ম্যাচ জিতে ১-০তে এগিয়ে থাকায় দলও ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। শুধু তাই নয়, এক সময়ের কঠিন প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ানদের এখন অনেকটা হেসে খেলেই হারাতে পারে টাইগাররা। তবে, এই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি নয় অধিনায়ক। তবে, পরীক্ষা নিরীক্ষা তো করেই নিতে হবে। তিনি বলেন,  ‘আসলে প্রতিপক্ষ চিন্তা করে খেলা কঠিন।

দেখেন মুশফিক দেড়শ মেরে এসেছে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে, অলমোস্ট হানড্রেড করেছে পাকিস্তানের সঙ্গে। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে তো ২শ’ করার কথা। ক্রিকেট খেলা তো এভাবে হয় না। এখন জিম্বাবুয়েকে আপনারা ওভাবে দেখছেন, চিন্তা করছেন। তাদেরকে কোনো জায়গা থেকে ছোট করার সুযোগ নেই। তারা সব সিনিয়র খেলোয়াড়রাই এসেছে। তারা তাদের সেরা খেলা খেললে আমাদের জন্য কঠিন হবে। সো আমরা সত্যিকার অর্থে-  এশিয়া কাপে যে মানসিকতা নিয়ে খেলেছি, আমরা সেই মানসিকতা নিয়েই খেলছি। আমরা যেন ভুল না করি। এখানে আমরা হংকংয়ের সঙ্গে হেরেছি। তাই আমরা কোনো সুযোগ দিতে চাই না।’ 

তবে, সিরিজ নিশ্চিত করার ম্যাচে দুশ্চিন্তার নাম একাদশ। একদিনে তরুণ আর নতুনদের নিয়ে শতভাগ ভরসা করা যাচ্ছে না। আছে ইনজুরি সমস্যা, আর নতুন করে যোগ হয়েছে সাগরিকা স্টেডিয়ামে শিশির আতঙ্ক। যে কারণে একাদশ কেমন হবে তাই ছিল গতকালের আলোচনার মূল বিষয়। অধিনায়ক একাদশ নিয়ে বলেন, ‘দেখেন আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। করছি না যে তা না। রাব্বী আরেকটি সুযোগ ডিজার্ভ করে। পাশাপাশি আমাদের আরো কিছু জায়গা আছে। যেমন আমাদের শান্ত বসে আছে। ওর ক্রিকেট খেলাটাও জরুরি। আরিফুল এশিয়া কাপ থেকে ধারাবাহিক টিমের সঙ্গে রয়েছে। সুযোগ পায়নি। পুরোদমে অনুশীলন করে যাচ্ছে। ও কিন্তু একটা সুযোগ ডিজার্ভ করে। কারণ ও জানে যে পরে আরো কঠিন টুর্নামেন্ট আসলে ওকে কিভাবে দেখবে। আবু হায়দার প্রথম ম্যাচে ভালো করেছে। 

ও কিন্তু সাইড বেঞ্চে আছে। এটা ভালো। আমাদের আরেকটু ক্লিনিক্যাল হতে হবে। ম্যাচ না হেরে কিভাবে একজন-দুজন করে সুযোগ দিতে পারি।’ ইনজুরির কারণে আজ মোস্তাফিজের না খেলারও শঙ্কা আছে। তাই রুবেল হোসেন ফিরতে পারে দলে বলেও জানা গেছে। আর শিশিরের কারণে একজন স্পিনার কম নিয়ে একাদশ হতে পারে। সে কারণে হয়তো রাব্বিই বাদ পড়তে পারেন শেষ পর্যন্ত। কারণ স্পিনার নাজমুল অপুর উপর দারুণ ভরসা অধিনায়কের।

অন্যদিকে, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সবগুলোতেই জিতেছে টাইগাররা। আজও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে দলের ব্যাটিং হতে হবে নিখুঁত। কারণ সাগরিকা যে ব্যাটিং স্বর্গ। এখানেই শেষ ২০১৬তে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৭৬ রান করেও হারতে হয়েছিল টাইগারদের। যে কারণে মাশরাফি বলেন, ‘২৭০  থেকেও প্রথম ম্যাচে আশা করেছি। মিরপুরের উইকেট শুরুতে আনইভেন ছিল। কিন্তু একটা জুটির পর মিঠুন ইমরুল যেভাবে ব্যাটিং করছিল ওখান থেকে আরামসে ৩শ’ এবং ৩১০-৩১৫ পসিবল ছিল। কিন্তু আরেক পাশ থেকে যদি দেখেন সেটাও খুব ভালো হয়েছে। তবে, এখানে (সাগরিকা) উইকেট ফেয়ার থাকে, ফ্লাট হয়। আরো বেশি রান হয়। সেক্ষেত্রে কোনো অঘটন না হলে বড় রান আশা করছি। আমরা আগে ব্যাটিং করলে উইকেটে কতটুকু টার্ন হবে সেটা মেটার করবে। পরে ব্যাটিং করলে শিশির থাকবে। তখন আরো স্বাচ্ছন্দে ব্যাটিং করা যাবে।’
এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে