বুধবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৬:১২:১৯

নতুন এক ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছেন মাশরাফি!

নতুন এক ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছেন মাশরাফি!

স্পোর্টস ডেস্ক: ২০০১ সালের আট নভেম্বর ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে যাত্রা  শুরু হয় মাশরাফি বিন মুর্তজার। সেই নভেম্বরের ২৩ তারিখেই আবার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই অভিষেক দুই সংস্করণে।
এখান থেকেই শুরু যার শেষ বলে কিছু নাই। এমন কথা মাশরাফি নিজেই বলেন। দীর্ঘ ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে দেশের ক্রিকেটকে অনেক কিছুই দিয়েছে। এই দেয়াটা যে খুব সুখকর ছিল তাও না।

গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি অবশ্য একটা ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন কবে অবসরে যাবেন।
'আমার লক্ষ্য বিশ্বকাপ পর্যন্তই আছে। এমনকি মাঝে আট মাস বাকি আছে। এই আট মাসে আমি আগের মতোই খেলে যাওয়ার চেষ্টা করবো। আর আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপ পর্যন্ত এরপর রিভিউ করার সুযোগ থাকবে কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে।'
১৭ বছরে চোটে পড়েছেন অসংখ্যবার। সাত বার বড় অস্ত্রোপচার করানো লেগেছে দুই পায়ের দুই হাঁটুতে। তবুও থেমে যাননি বরং ঘুরে দাঁড়িয়েছেন বারবার।

এই লম্বা সময়ের ক্যারিয়ারে যদি বারবার চোটে না পড়তেন এতদিনে হয়তো অনেক মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলতেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের বর্তমান অধিনায়ক।

আগামী ৯ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। নতুন এক ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছেন মাশরাফি! ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই স্পর্শ করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশী কোনও ক্রিকেটার হয়ে ২০০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার মাইলফলক।

দেশের হয়ে খেলেছেন ১৯৭টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ। এছাড়াও ২০০৬ সালে এশিয়া একাদশের হয়ে দুইটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে।

মাশরাফি বিন মুর্তজা ছাড়াও দেশের হয়ে ১৯৫টি ওয়ানডে খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। সাকিব আল হাসান ১৯২টি আর তামিম ইকবাল খেলেছেন ১৮৩টি ওয়ানডে ম্যাচ।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে