স্পোর্টস ডেস্ক: ব্যাট হাতে ৩৩ বলে অনবদ্য ৫২ রান করার পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরানোতে বিশেষ অবদান রাখেন মুশফিকুর রহিম। সবমিলিয়ে মুশফিকের দিন তো বলাই যায়। তার ব্যাটিং, ফিল্ডিং এবং অধিনায়কত্বে হ্যাটট্রিক জয় পেল চিটাগাং ভাইকিংস। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে জয় পেল মুশফিকবাহিনী।
বিপিএলের চলমান ষষ্ঠ আসরে পাঁচ ম্যাচে চার জয়ে ৮ পয়েন্ট পেয়েছে চিটাগাং ভাইকিংস।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২১৪ রানের পাহাড় গড়ে চিটাগাং। জবাবে খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৮ রান করতে সমর্থ হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন খুলনা টাইটানস। চিটাগাংয়ের বিশাল রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় খুলনা টাইটাস।
তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আশাজাগানিয়া ব্যাটিংয়ে এক সময় ম্যাচে ফিরে আসে খুলনা। কিন্তু মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পর আর কেউ ম্যাচ জেতানো ব্যাটিং করতে পারেননি।
এই পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বিপিএল থেকে প্রায় ছিটকে গেল খুলনা টাইটানস। নিজের সাত খেলায় ৬টিতে হেরে যায় খুলনা। এ হারের ফলে কঠিন সমীকরণে পড়ে গেল মাহমুদউল্লাহরা।
খুলনার ইনিংসের শুরুতেই হার্ডহিটার ওপেনার পল স্টারলিংয়ের উইকেট তুলে নেন আবু জায়েদ চোধুরী রাহীর। এরপর তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা আল-আমিনকেও ফেরান আবু জায়েদ। অন্য ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী ফেরেন খালিদ হাসানের শিকার হয়ে।
১৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেটে ব্রান্ডন টেইলরকে সঙ্গে নিয়ে ৬৮ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ।
১৬ বলে ২৮ রান করে নাঈম হাসানের ঘূর্ণি বলে বিভ্রান্ত টেইলর। তার বিদায়ের পর দলের পরাজয় এড়াতে আরিফুলকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করেন রিয়াদ। ২৫ বলে তিন চার ও চারটি দৃষ্টিনন্দন ছক্কায় অর্ধশত রান পূর্ণ করে ক্যামেরন ডেলপোর্টের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ।
এরপর বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ডেলপোর্টের বলে দাসুন শানাকার দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন আরিফুল হক। শেষ দিকে ডেভিড ওয়াইজ এবং তাইজুল ইসলামের ব্যাটিং কেবল দলের পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে।