শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৯:২০:১৮

গেইল ঝড়েও হতাশা কাটলো না বরিশালের

গেইল ঝড়েও হতাশা কাটলো না বরিশালের

স্পোর্টস ডেস্ক: বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিতে ঢাকা ডায়নামাইটসকে ১৩৬ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বরিশাল বুলস। এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্সকে ৭২ রানে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে মাশরাফি বিন মর্তুজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ঝড় তোলা ক্রিস গেইল আর বিপিএলে প্রথমবারের মত রান পাওয়া সাব্বির রহমান বড় সংগ্রহের পথেই রেখেছিলেন বরিশাল বুলসকে। কিন্তু শেষের দিকে ঘুরে দাঁড়ানো ঢাকা ডায়নামাইটস লক্ষ্য ততটা বড় হতে দেয়নি। এলিমিনেটর ম্যাচে জয়ের জন্য ১৩৬ রান চাই ঢাকার। শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৩৫ রান করে বরিশাল। দুই অফ স্পিনার অলরাউন্ডার নাসির হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেনকে দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করান ঢাকার অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। নাসির প্রথম ওভারে রনি তালুকদারকে ফিরিয়ে শুরুটা ভালো করেন। কিন্তু তরুণ মোসাদ্দেক পড়েন গেইলের তোপের সামনে। মোসাদ্দেকের প্রথম দুই ওভার থেকে ৩০ রান নেন তিনি। এক প্রান্তে গেইল ঝড় তুললেও অন্য প্রান্তে তখন নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন টুর্নামেন্টে নিজের ছায়া হয়ে থাকা সাব্বির। নাসিরকে একটি ওভার মেডেনও দেন সাব্বির। মুস্তাফিজুর রহমানও মেডেন নেওয়ার পথে ছিলেন, শেষ বলে গিয়ে এক রান নেন তিনি। রানের খাতা খোলার পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি সাব্বিরকে। রানের গতি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেন তিনিও। দশম ওভারে মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে থামেন গেইল। তার ৩১ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংসটি সাজানো ৪টি চার ও দুটি বিশাল ছক্কায়। গেইলের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি সর্বোচ্চ ৪১ রান করা সাব্বিরও। নাবিল সামাদের বলে মোসাদ্দেককে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। তার ৩৯ বলের ইনিংসটি ৩টি করে ছক্কা-চারে গড়া। গেইল-সাব্বিরের বিদায়ের পর দলকে ১৩৫ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বড় অবদান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর। শেষ ওভারে মুস্তাফিজের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৩৩ বলে ৩৭ রানের ভালো একটি ইনিংস খেলেন তিনি। ১২ ডিসেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রদিপ/পিবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে