মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০১৯, ০৮:২৫:১৭

লাথি মেরে দরজা খুলে হাঁটা শুরু করি : তামিম

লাথি মেরে দরজা খুলে হাঁটা শুরু করি : তামিম

স্পোর্টস ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন তামিম-মুশফিকরা। হামলায় আক্রান্ত আল নূর মসজিদের কাছেই জুম্মার নামাজ আদায়ের জন্য পৌঁছেছিলো জাতীয় দলকে বহন করা বাস।

এসময় ক্রিকেটাররা সবাই টিম বাস থেকে নেমেই গুলির আওয়াজ শুনতে পান। কিন্তু কেউ জানতেন না মসজিদের ভিতরে গুলি চলছে। এমতাবস্থায় এক নারী তাদের সব খুলে বললে সবাই তড়িঘড়ি করে ফের বাসে উঠেন। আতঙ্কিত অবস্থায় সবাই বাস চালককে সেখান থেকে তাদের নিরাপদে নিয়ে যেতে বলেন।

কিন্তু সে কথা শুনেননি বাস চালক। ছিলেন পুরোই চুপচাপ। ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন কিছু লোমহর্ষক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন দলের ওপেনার তামিম ইকবাল।

তামিম জানান, আমরা মসজিদ থেকে ৬০ গজ দূরে ছিলাম। অবস্থা খারাপ দেখে আমরা দ্রুত বাসে উঠে ড্রাইভারকে বলি সেই স্থান ত্যাগ করতে। কিন্তু সে কোনো কথা শুনেননি। আমরা একাধিক তাকে এই অনুরোধ করি। কিন্তু প্রতিবারই আমরা ব্যর্থ হই। একটু পর বাস চালক সেখান থেকে ১০ মিটার দূরে নিয়ে বাস দাঁড় করান। আর সেটা আমাদের জন্য আরো বিপদজনক ছিল। 

যেহেতু সেখানে আমরা নিরাপদ ছিলাম না, তাই এক পর্যায়ে আমরা কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে বাসের দরজায় লাত্থি দিতে শুরু করি। আর দরজা খুলে বের হয়ে পার্কের ভিতর দিয়ে হাঁটা শুরু করি। তবে বাস চালক কেন আমাদের সাথে এমন করলো সেটাই বুঝে উঠতে পারিনি।’

এদিকে শ্বাসরূদ্ধকর সেই মুহূর্তে কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় বাস থেকে তামিম সহায়তা চেয়েছিলেন ‘ক্রিকইনফো’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইসামের কাছে। তামিম যখন ফোন করে বলেছিলেন, ‘ভাই আমাদের বাঁচান, এখানে গোলাগুলি হচ্ছে, আমরা বাসের মেঝেতে মাথা গুঁজে আছি’

তবে তখনই ঘটনার প্রচণ্ডতা বুঝতে পারেন তিনি। কয়েকজন সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে ক্রিকেটারদের সাহায্য করতে স্থানীয় এক নারীর গাড়িতে করেই ঘটনাস্থল পৌঁছান ইসাম।

সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ইসাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা যখন সেখানে পৌঁছাই, আল নূর মসজিদের কাছে রাস্তার মোড় তখন পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছিলো।’

তখন আমি সেই মসজিদের কাছে দৌড়ে যাচ্ছিলাম টিম বাস খুঁজতে। যদিও রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছি। বাস স্পট করেই সেখানে দৌড়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে এভাবে রাস্তা পার হওয়া বিপজ্জনক। তখন পেসার এবাদত হোসেন আমার হাত ধরে ফেলে তাদের সঙ্গে যেতে বলে।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে