স্পোর্টস ডেস্ক: ২০১১ বিশ্বকাপের আগে যখন বাংলাদেশ দল ঘোষণা করা হয়েছিল, তারপর মিরপুরে বিসিবি একাডেমি মাঠে গিয়ে দলে জায়গা না পাওয়ার কষ্টে কেঁদে দিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ইনজুরিপ্রবণ, তার ওপর বিশ্বকাপের কিছুদিন আগেই ইনজুরি থেকে ফিরেছিলেন মাত্র- এ কারণেই তখনকার কোচ জেমি সিডন্স ও নির্বাচকরা মাশরাফিকে দলে রাখেননি। অথচ, ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলার মত তখন যথেষ্ট সুস্থ এবং ফিট হয়ে উঠেছিলেন দেশের সেরা এই পেসার।
মাশরাফির কান্না সেদিন ছুঁয়ে গিয়েছিল বিসিবি একাডেমি মাঠে উপস্থিত সব সাংবাদিককে। মাশরাফির চোখের পানির সঙ্গে মিশে গিয়েছিল অনেকেরই চোখের পানি।
২০১১ সালের পর কেটে গেছে আরও একটি বিশ্বকাপ। ২০১৫ বিশ্বকাপে মাশরাফি ছিলেন অধিনায়ক। নতুন বল হাতে তার সঙ্গী ছিলেন আরেকজন তরুণ, এক্সপ্রেস বোলার তাসকিন আহমেদ। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গতির ঝড় তুলেছিলেন তিনি। উইকেট নেয়ার আনন্দে মাশরাফির সঙ্গে তাসকিনের সেই চেস্ট বাম্প এখনও সবার চোখে ভাসে।
এবার দুয়ারে উপস্থিত আরও একটি বিশ্বকাপ। ২০১১ সালের সঙ্গে সময়ের ব্যবধান আট বছর। আট বছর পর আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার মাশরাফির জায়গায় তাসকিন। বিশ্বকাপের দলে সুযোগ না পাওয়ার কষ্টে কেঁদেই ফেললেন তিনি।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিসিবির প্রেস কনফারেন্স হলে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। ১৫ সদস্যের সেই দলে তাসকিন আহমেদের পরিবর্তে জায়গা দেয়া হয়েছে আরেক তরুণ পেসার আবু জায়েদ রাহীকে।
অবশেষে স্কোয়াড ঘোষণার পর দেখা গেলো, সেখানে নেই তাসকিনের নাম। স্কোয়াড ঘোষণার পর তার মুখোমুখি হন সাংবাদিকরা। সেখানেই নিজের আবেগ এবং কষ্ট লুকাতে পারলেন না জাতীয় দলের এই পেসার।বিশ্বকাপের দলে সুযোগ না পাওয়ার কষ্টে কেঁদেই ফেললেন তিনি।