স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপ দলে ডাক পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেছিলেন। তবে স্মৃতিটা সুখকর হলো না লিটন দাসের। দলের বিপর্যয় বাড়িয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। বিপর্যয় এড়াতে লড়ছেন তুষার ইমরান ও মোহাম্মদ আশরাফুল।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে শেখ জামালের আমন্ত্রণে আগে ব্যাট করতে নামে মোহামেডান। শুরুটা যেমন প্রত্যাশিত ছিল তা দলকে এনে দিতে পারেননি দুই ওপেনার। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় দলটি। প্রতিপক্ষ শিবিরের স্পিনার নাসির হোসেন ব্রেক থ্রু এনে দেন শেখ জামালকে। ৬ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরেন ইরফান শুক্কর। এরপর জ্বলে ওঠেন পেসার খালেদ আহমেদ।
একে একে অভিষেক মিত্র (২) ও রকিবুল হাসানকে (৮) সাজঘরে ফেরান তিনি। ২৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে মোহামেডান। অন্য প্রান্ত থেকে একে একে টপ অর্ডার গুড়িয়ে গেলেও অন্য প্রান্ত ধরে রেখে ব্যাট করতে থাকেন লিটন দাস।
বিশ্বকাপে ডাক পাওয়ার পর প্রথম ম্যাচ। মনে হচ্ছিল বড় কিছু করে দেখাবেন তিনি। সে লক্ষ্য নিয়েই ব্যাট করে চলেছিলেন তিনি। তবে তা আর হয়ে ওঠেনি। সে স্বপ্নে বাধ সাজেন ইলিয়াস সানি। ইনিংসের ১৫তম ওভারে বল করতে এসে আঘাত হানেন তিনি। সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। আউটের আগে খেলেন ৩৩ বলে ২৬ রানের ইনিংস।
তার বিদায়ে দলীয় ৫৫ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে মোহামেডানের। দলের এমন বিপদের মুহূর্তে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ আশরাফুল। যোগ দেন অভিজ্ঞ তুষারের সাথে। এ মুহূর্তে দলের বিপর্যয় এড়াতে লড়ে যাচ্ছেন এ দু’জন।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় মোহামেডানের সংগ্রহ ২০ ওভারে ৭১ রান। ১৯ রান নিয়ে তুষার ও ৭ রান নিয়ে ব্যাট করছেন আশরাফুল।
শেখ জামালের বোলারদের মধ্যে ৬ ওভার বল করে খালেদ ৩২ রানের বিনিময়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট লাভ করেছেন। তাছাড়া নাসির ৯.৩ ওভারে ২০ রান খরচায় একটি ও ৩ ওভার থেকে ১০ রান দিয়ে ১টি উইকেট নিয়েছেন সানি।